বিজেপিকে তোপ দেগে শশী পাঁজার দাবি, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জন্মদিনের উপহার দিয়েছে ইডি গতকাল রাতে। তৃণমূল কংগ্রেস হল বিজেপির টার্গেট। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় ডাক, পরে নবজোয়ার যখন জনজোয়ার হয়েছে তখন ডাক। সামনে লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, তত অবিজেপি দলগুলিকে ডাকা হবে।’
আরও পড়ুন: জেরায় কখনও স্মিত, কখনও উচ্চকিত হাসি হাসছেন জ্যোতিপ্রিয়, নতুন কৌশলে মাথায় হাত ইডি-র
advertisement
শশী পাঁজার আরও দাবি, ‘ইডি তলব দূরের কথা, বিজেপির যাদের অর্থ বেড়েছে কোনও ভাবে নোটিশও পৌঁছয় না তাদের কাছে। প্রতিদিন প্রমাণ করছে এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হেনস্থা। এখন নতুন যোগ করছে, ডায়মন্ড হারবারে দাঁড়াব। কাকতালীয় ঘটনা। পুজোর মধ্যে দেখা গেল একজন মন্ত্রীকে ডেকে জেলে পাঠাল। সামনে কালী পুজো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে পুজো হয়। ফের এখন তলব।’
আরও পড়ুন: খুব ইচ্ছে ছিল পার্থর, বাধ সাধেন জ্যোতিপ্রিয়! গ্রেফতার দুই নেতার ‘লড়াইয়ে’ নেত্রী হওয়া হল না অর্পিতার
রাজ্যের মহিলা, শিশু ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ‘এটা এমন একটা ইনভেস্টিগেশন তার কোনও শেষ নেই। আগামিকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্যই যাবেন। সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেবেন। তিনি জন প্রতিনিধি, আইটি ফাইল রয়েছে। সবটাই পাবলিক ডোমেনে রয়েছে। সামনে নির্বাচন। তার প্রচার থেকে যাতে বিরত থাকেন তার জন্য বিব্রত করার চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্র। দলকে কালিমালিপ্ত করা,বাংলাকে খারাপ করা,নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকেই এটা করছে ওরা।’
সোমবারই বিজেপির নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল। সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির রামেশ্বর তেলি, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, সৌমিত্র খাঁ, জগদম্বিকা পাল, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ও অধিকারী পরিবারের নাম উল্লেখ করে, তাঁদের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নেত্রী শশী পাঁজা। এই ৬ নামের ক্ষেত্রে কেন ইডি বা সিবিআই-এর নোটিশ নেই, এদিন সেই প্রশ্নও তোলেন শশী। একইসঙ্গে ইডি-সিবিআই-এর মতো সংস্থা যে তদন্ত চালাচ্ছে, তার সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার দাবি জানান শশী পাঁজা।
আবীর ঘোষাল