এই ঘটনার পরে বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের তরফে সর্বপ্রথম প্রতিক্রিয়া দিলেন সে দলের কুণাল ঘোষ৷ কুণাল বলেন, ‘‘এই ঘটনা অনভিপ্রেত। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে অপব্যবহার করে এলাকায় প্ররোচনা করছে। আমাদের আবেদন এদের প্ররোচনায় পা দেবেন না। বিজেপি সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়াতে চায়। আমরা বলি মানুষ গৃহছাড়া হয়েছে? ওরা ধর্মের নামে কথা বলছে। সাধারণ মানুষ দেখছেন। ওদের কেস না দেখে, শুধু তৃণমূলের বাড়ি যাচ্ছে। কোনও এক জায়গায় মানুষ প্রতিক্রিয়া দেখালেন৷’’
advertisement
সন্দেশখালির ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন শুভেন্দু৷ দাবি জানিয়েছেন, এনআইএ দিয়ে ঘটনার তদন্ত হোক৷ শুভেন্দুর এ হেন দাবি নিয়েও কটাক্ষ করেন কুণাল৷
নেতার কথায়, ‘‘শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে তল্লাশি হয় না। আর এখানে ধারাবাহিক ভাবে তৃণমূল নেতাদের বাড়ি হচ্ছে তল্লাশি। এরা আতঙ্ক করছে তল্লাশির নামে। এই বিভিন্ন এলাকায় প্ররোচনা ধারাবাহিক ভাবে করছেন। এর নিন্দা করছি। পাগলের মতো তল্লাশি করছে। বিজেপি ও কেন্দ্রীয় বাহিনী করছে। বিরোধীদের কাজ এইসব করা। অন্য রাজ্যে এর থেকে অনেক বেশি ঘটনা ঘটেছে। চোখের সামনে মণিপুর আছে। নিজেরা পারছে না। এজেন্সি পাঠাচ্ছে। নিরপেক্ষ তদন্ত হোক।’’
সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনায় মুখ খুলেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও। রাজ্যপাল কেন ঘোষণা করেছেন না যে, এ রাজ্যে সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে? প্রশ্ন করেছেন বিচারপতি। যদি তদন্তকারীরা মার খান তাহলে তদন্ত কীভাবে হবে? এমনও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন বিচারপতির মন্তব্য নিয়েও নিজের প্রতিক্রিয়া জানান কুণাল৷
কুণালের কথায়, ‘‘প্রধান বিচারপতির উচিত জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়কে অবিলম্বে বামেদের ব্রিগেডে পাঠানো। অন্য রাজ্য হলে চুপ কেন থাকেন? পলিটিকাল উইশলিস্ট বলে দিচ্ছেন উনি। উনি কি সিবিআই বা ইডি’র মুখপাত্র। ওঁর বক্তৃতা দেওয়ার ইচ্ছা থাকলে উনি টিফিন টাইমে হাইকোর্টে বাইরে বক্তৃতা দিন।’’
আরও পড়ুন: ‘ইডি অভিযানের কথা জানতই না পুলিশ’! সন্দেশখালি নিয়ে বিস্ফোরক দাবি নবান্নের
এদিন সন্দেশখালিতে বিক্ষুব্ধ স্থানীয়দের হাতে আক্রান্ত হয়েছে সংবাদমাধ্যমও৷ নিউজ ১৮ বাংলার প্রতিনিধি ও ক্যামেরাপার্সনও ঘটনায় আহত হন৷ এদিন সংবাদমাধ্যমের উপরে হামলার ঘটনা নিয়ে কুণাল বলেন, ‘‘সংবাদমাধ্যমকে সম্মান করি। তাদের কাজ করতে দিন। তাদের উপরে আঘাত কাম্য নয়। গোটা ঘটনার দায় ও দায়িত্ব বিজেপির।’’