গরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। তারপর থেকেই রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে এসএফআই। কোথাও মাইক নিয়ে প্রচার শুরু হয়েছে। বলা হচ্ছে "এ বার থেকে নিজেদের গরু বাইরে থাকলেও আর চুরি হওয়ার ভয় নেই।" কোথাও বা ড্রাম, ঢাক, ঢোল নিয়ে রাস্তায় বাজানো হচ্ছে। আবার কোথাও বা বাতাসা, নকুলদানা বিলি করা হচ্ছে। কলকাতার ধর্মতলা অঞ্চলে প্রচার করা হয়েছে। তেমনই মালদহের কালিয়াচকেও এই প্রচার করেছে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ 'অর্পিতার মতো আমার কোনও বান্ধবী নেই, তবে...' কী বলতে চাইলেন চিরঞ্জিত! তুঙ্গে জল্পনা
এ দিন অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারের পর মালদহের কালিয়াচকে এসএফআই মালদহ জেলা কমিটির উদ্যোগে বাতাসা, নকুলদনা বিলি করা হয়েছে ড্রাম পিটিয়ে। উপস্থিত ছিলেন এসএফআইয়ের রাজ্য সহ-সম্পাদক শুভজিৎ সরকার, মালদহ জেলার সম্পাদক চিরঞ্জিত মণ্ডল, সভাপতি কৌশিক মৈত্র প্রমুখ। এ বিষয়ে শুভজিৎ সরকার বলেন, "চড়াম চড়াম ঢাক বাজানোর কথা বলে এখন প্রশাসন চোরকে ধরে নিয়ে গিয়েছে। সম্পূর্ণটাই জনগণের আন্দোলনের ফলে। আমরা আশাবাদী এ বার যে এই চোরগুলোকে চুরি শিখিয়েছে তাকেও জেলে পুরবে, আর তাকে শাস্তি না দিলে রাজ্যজুড়ে ছাত্র সমাজ আন্দোলন করবে। রাজ্য স্তব্ধ করে দেবে। আর যে যা খাবার পছন্দ করে সেটাই জনগণকে বিলি করলাম।"
আরও পড়ুনঃ যে নিজাম প্যালেস এড়াচ্ছিলেন বারবার, আজ রাত থেকে সেই ঠিকানাতেই অনুব্রত মণ্ডল
পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইডি-র হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছিল সিপিএমের ছাত্রযুব সংগঠন। তার কিছুদিনের মধ্যে শাসকদলের আরেক হেভিওয়েট নেতাকে গ্রেফতার করল আরেক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। খুব স্বাভাবিক কারণেই তার ফলে রাজনৈতিক ভাবে অক্সিজেন পেয়েছে বিরোধীরা। সিপিএমও এই সুযোগে রাজনৈতিক ভাবে নিজেদের পায়ের তলার মাটি শক্ত করার চেষ্টা করছে। এমনটাই মনে করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।
UJJAL ROY