এহেন চিকিৎসক অভিজিৎ ভক্তর বিরুদ্ধেই গুরুতর অভিযোগ উঠল এন আর এস হাসপাতালের ভিতর থেকেই। অভিযোগ,গত ১৯ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালের নার্সিং কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী যখন ওয়ার্ডের ডিউটি করে হোস্টেলে ফিরছিলেন,তখনই ডক্টর অভিজিৎ ভক্ত তার সামনে গাড়ি থামিয়ে তাকে গাড়িতে উঠতে বলেন।এমনকি নার্সের যে অ্যাপ্রন পড়েছিলেন, তাও খুলতে বলেন। দৃশ্যতই চমকে যান ওই ছাত্রী। কি করবেন, কিছুই বুঝতে পারেন নি তিনি।এরপরই ডক্টর অভিজিৎ ভক্ত নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ,হোস্টেল সুপার এর নাম করে বলেন,কোনও সমস্যা হবে না।
advertisement
ছাত্রীর আরও অভিযোগ,সেই সময় তাদের কয়েকজন শিক্ষিকা সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের এই কথোপকথন শুনে এগিয়ে আসলে তাদেরকেও ওই চিকিৎসক তার কতখানি ক্ষমতা আছে,ত দেখাতে যেন বাধ্য না করে এই বলায় তারা চলে যান। এরপর ওই ছাত্রীকে তার শরীরের নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মাপ বা ভাইটাল statistics জানতে চান তিনি।এরপরই ওই ছাত্রী হোস্টেলে ফিরে সিনিওরদের জানালে তারা সবাই মিলে অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ জানান।এমনকি সোশাল মিডিয়াতেও এই ঘটনা লিখে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
যদিও অভিযুক্ত চিকিৎসক অভিজিৎ ভক্ত এই ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন,উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাকে কালিমালিপ্ত করার জন্যই এই অভিযোগ। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের তত্বও তিনি তুলেছেন।হাসপাতালের অভ্যন্তরেও একটা বিষয় উঠে আসছে যে,সম্প্রতি এন আর এস হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে নির্মল মাজিকে সরিয়ে তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ শান্তনু সেনকে বসানো হয়। এরপরই নির্মল ঘনিষ্ঠ অভিজিৎ ভক্তের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ।তাছাড়া গত বছর জুন মাসে এই এনআরএস হাসপাতালে নার্সিং হোস্টেল এর পাশে ১৬ টি কুকুরছানাকে পিটিয়ে মেরে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল ২ নার্সিং ছাত্রীর বিরুদ্ধে। সেই সময় এই অভিযুক্ত চিকিৎসক অভিজিৎ ভক্তই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছিল,ফলে সেই ঘটনার সঙ্গে যোগাযোগ থাকতে পারে এই অভিযোগের।
যদিও এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে এবার এন আর এস হাসপাতালে অভিযুক্ত চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে সার্ভিস ডক্টর ফোরাম, নার্সেস ইউনিটি সহ বিভিন্ন সংগঠন তারা প্রতিবাদ জানায় অধ্যক্ষকে স্মারকলিপিও দেয়। নার্সেস ইউনিটির পক্ষ থেকে মঙ্গলবার কলকাতার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজগুলোতে এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং নার্সিং ছাত্রীদের কালোব্যাজ পড়ে ডিউটি করার আবেদন জানানো হয়।এন আর এস হাসপাতাল কতৃপক্ষ বা নার্সিং কলেজের কেউ এ বিষয়ে কথা বলতে চায়নি।
ABHIJIT CHANDA