অবস্থান-বিক্ষোভ কার্যত লেগেই রয়েছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। গত সপ্তাহে হিন্দু হোস্টেলের সমস্যা সমাধানের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছিল বিশ্ববিদ্যালয়। লাগাতার ৩০ ঘণ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ঘেরাও করে রেখেছিলেন পড়ুয়ারা। হোস্টেলের ৩, ৪, ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডে দ্রুত পড়ুয়াদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। তাঁদের অভিযোগ ছিল, কর্তৃপক্ষ একাধিকবার দাবি পূরণের আশ্বাস দিলেও সমস্যা মেটেনি। তাঁদের দাবি গুলি ছিল হোস্টেলের স্টাফের সংখ্যা বাড়াতে হবে, বিনা নোটিশে মেসের স্টাফ ছাঁটাই করা যাবে না। যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত অধ্যাপককে হোস্টেলের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের পদ থেকে অপসারণের দাবি জানান পড়ুয়ারা। মূলত এই হোস্টেলের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার হিসাবে রয়েছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ওই অধ্যাপক। পাশাপাশি হোস্টেল আবাসিকদের নিয়ে একটি ওয়েলফেয়ার কমিটি তৈরীর দাবি জানিয়েছেন পড়ুয়ারা। যদিও লাগাতার ঘেরাওয়ের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়ায় আপাতত চিকিৎসকদের পরামর্শে বিশ্রামে রয়েছেন উপাচার্য।
advertisement
এই পরিস্থিতিতে সোমবার সকাল থেকে ফের বিক্ষোভ আন্দোলনে উত্তাল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। নিজেদের দাবিতে অনড় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের পড়ুয়ারা। বিভাগের কয়েকজন ছাত্রী ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন। আপাতত সেই অভিযোগের তদন্ত আইসিসি করলেও পড়ুয়াদের প্রশ্ন কেন অভিযুক্ত অধ্যাপক বিভাগের ক্লাস নেবেন ? হিন্দু হোস্টেলের আন্দোলন চলাকালীন পড়ুয়াদের তরফে এই দাবি ও রাখা হয়েছিল উপাচার্যকে। প্রাথমিকভাবে যে বিভাগের পড়ুয়ারা ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন সেই বিভাগগুলিতেই ক্লাস না নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই অধ্যাপককে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নন পড়ুয়ারা। অবশ্য এই বিষয় নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।
SOMRAJ BANDOPADHYAY