কোনও বিল নিয়ে রাজ্যপাল নিজে সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে তাঁর দু’টি করণীয় থাকে। বিলটি সিদ্ধান্তের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো অথবা বিল সংশোধনের জন্য বিধানসভায় ফেরত পাঠানো। এ ক্ষেত্রে রাজভবন থেকে কোনও পদক্ষেপই করা হয়নি বলে অভিযোগ। রাজ্যপাল নিজেও সিদ্ধান্ত নিয়ে বিলে স্বাক্ষর করেননি। আবার বিলগুলি রাষ্ট্রপতির কাছে বা সংশোধনের জন্য বিধানসভাতেও পাঠাননি। এ ভাবে বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল দীর্ঘ দিন রাজভবন ফেলে রাখতে পারে না বলে জানিয়েছেন রাজ্যের আইনজীবী।
advertisement
আরও পড়ুন: চাকরি বাতিলের প্রতিবাদে পথে নামছে তৃণমূল, আজ কলকাতায় মিছিল, শুক্রবার হবে জেলায় জেলায়
এই অবস্থায় বাংলার রাজ্যপালের দরবারে ২৩টি বিল আটকে, সুপ্রিম রায়ে আশা দেখছে সরকার। তামিলনাড়ুর রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সেই রাজ্যের সরকারের মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর খুশি বাংলার শাসকদল। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, অপরাজিত বিল-সহ ২৩টি বিল রাজ্যপালের অনুমোদনের জন্য পড়ে রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পর বাংলার রাজ্যপাল সেই বিলগুলি অনুমোদনে তৎপর হবেন বলে আশাবাদী বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এটা নিয়ে আমরা বারবার আমাদের রাজ্যপালকে বলেছি। ২০১৬ সাল থেকে ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে বিধানসভায় পাশ হওয়া ২৩টি বিল রাজ্যপালের অনুমোদনের জন্য পড়ে রয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিল রয়েছে। যেমন অপরাজিতা বিল, গণপিটুনি বিল। কেন এগুলোকে অনুমোদন দিচ্ছেন না, বুঝতে পারছি না। সংবিধানের কোনও অনুচ্ছেদকে লঙ্ঘন করে এমন কোনও বিল নেই, যেটা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো যেতে পারে। বিলে অনুমতি না দিলে কোনও সুপারিশ থাকলে সেটা জানিয়ে রাজ্যপাল আমাদের পাঠাতে পারেন। আমরা সংশোধন করে বিলটি পাশ করিয়ে পাঠালে তা অনুমোদন করা ছাড়া কোনও বিকল্প থাকে না। তারপরও আমরা দেখেছি, আমাদের বিলগুলো যাচ্ছে, তার মধ্যে কিছু কিছু বিল উনি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। সেই বিলগুলি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর কোনও যৌক্তিকতা নেই।”