পুলিশ সূত্রে খবর, সুপর্ণা মিত্র (নাম পরিবর্তিত) নামে অভিযুক্ত ওই স্কুল শিক্ষিকা পঞ্চসায়র থানা এলাকার বাসিন্দা৷ তিনি একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা৷ তাঁরই সঙ্গে ওই স্কুলেই শিক্ষকতা করতেন অভিযোগকারিণী দ্বিতীয় শিক্ষিকা৷ তিনি দক্ষিণ কলকাতারই বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে ৷
আরও পড়ুন: একদিন ছুটি পাওয়া যাবে! পুরুলিয়ার স্কুলে খুদে পড়ুয়াকে খুন অষ্টম শ্রেণির ছাত্রের
advertisement
সুপর্ণা মিত্র নামে ওই শিক্ষিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল কলকাতা মেট্রো রেলের এক কর্মী নীলাঞ্জন রাউতের (নাম পরিবর্তিত)৷ তিনি নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার বাসিন্দা ৷ সুপর্ণার মাধ্যমেই মাধ্যমে নীলাঞ্জনের সঙ্গে অভিযোগকারিণী শিক্ষিকার আলাপ হয় ৷ তিনজনেই মাঝেমধ্যে নানান জায়গায় ঘুরতে যেতেন ও খাওয়া দাওয়া করতেন ৷ পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, সুপুর্ণার ইন্ধনেই অভিযোগকারিণী ওই শিক্ষিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে নীলাঞ্জন ৷ নির্যাতিতাও নীলাঞ্জনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ৷
অভিযোগকারিণী ওই শিক্ষিকা বাড়িতে একাই থাকতেন ৷ তাঁর বাড়িতেই খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয় ৷ নীলাঞ্জন ও সুপর্ণা দু জনেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন ৷ দু জনেই রাতে নির্যাতিতার বাড়িতে থেকে যাওয়ার পরিকল্পনাও করে ৷ রাতে নীলাঞ্জনের সঙ্গে অভিযোগকারিণী ওই শিক্ষিকা শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হলে লুকিয়ে তার ভিডিও করে সুপর্ণা ৷ পরে সেই ভিডিও প্রকাশ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে সুপর্ণা ও নীলাঞ্জন নির্যাতিতার কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ৷ এ ছাড়াও সোনার গয়নাও হাতিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ ৷
২০ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরেও ফের ব্ল্যাকমেল করে টাকা চাওয়ায় নরেন্দ্রপুর থানার দারস্থ হন অভিযোগকারিণী ৷ ঘটনার তদন্তে নেমে সুপর্ণা এবং নীলাঞ্জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷