আরও পড়ুন: দুর্নীতি করলেই শুইয়ে দেওয়ার নিদান! দেউচা-পাচামিতে 'হোমটাস্ক' অনুব্রত মণ্ডলের...
উল্লেখ্য, আইনি জটিলতা কাটিয়ে মঙ্গলবার থেকে ফের খুলছে রাজ্যের স্কুলগুলি(School Reopening)। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা স্কুলের পরিকাঠামো কতটা ছাত্র ছাত্রীদের জন্য সুবিধেজনক রয়েছে তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। তার ওপর ক্লাসের নয়া সময়। কাল ক্লাসের ঘণ্টায় পদে পদে নতুন রুটিনে তাল কাটতে পারে পুরোনো ছন্দের। দেড় বছর পর খুলছে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি। অফলাইন ক্লাসে থাকবে কোভিড গাইডলাইনের(School Reopening) কড়াকড়ি। জেলায় জেলায় এখনও কাটেনি শিক্ষামহলের দুশ্চিন্তা। শেষমূহুর্তে সংস্কার সাফাইয়ের হুড়োহুড়ি চলছে। পরিবহণ নিয়েও উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা।
advertisement
গত সপ্তাহেই স্কুল-মামলা খারিজ হয়ে গিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। স্কুল খোলার বিষয়ে আপাতত হস্তক্ষেপ করতে নারাজ হাইকোর্ট। জনস্বার্থ মামলাটির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। আদালত জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকারি নির্দেশ মেনে ১৬ নভেম্বর থেকে খুলবে স্কুলের দরজা। আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা স্কুলে যাবে। এরপর ধাপে ধাপে বাকিদেরও ক্লাস চালু হবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়েই রাজ্যের শিক্ষা দফতর জেলাগুলিতে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কী ভাবে স্কুল খুলতে হবে। কিন্তু সেই নির্দেশ কতটা মণ হয়েছে তা দেখতেই আজ পরিদর্শকদের নির্দেশ স্কুল শিক্ষা সচিবের।
আরও পড়ুন: আগামিকালই রাজ্যের ১০ হাজার ডিলারদের নিয়ে শুরু হচ্ছে দুয়ারে রেশন
মাঝে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসার পর নবম থেকে দ্বাদশের ক্লাস চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল স্কুল শিক্ষা দফতর। সেই সময় রাজ্যের তরফে গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়। এবারও একই গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে। মূলত এই গাইডলাইনে বলা হয়েছে, প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীকে মাস্ক পরে স্কুলে আসতে হবে। সেই মর্মে বিদ্যালয়গুলিকে নোটিস জারি করতে হবে। এছাড়াও প্রতিটি স্কুলে একটি শয্যাযুক্ত আইসোলেশন রুম রাখতে হবে। আচমকা যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাকে যেন সেখানে স্থানান্তরিত করা যায়।
মঙ্গলবার থেকে খুলতে চলেছে স্কুল। ফের দুয়ারে আসবে পুলকার। হবে টিফিনের পালা। অপেক্ষায় পড়ুয়ারা। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা। তবে মারণ ভাইরাসের কোপ থেকে কী ভাবে পড়ুয়াদের দূরে রাখা যাবে সে বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত সতর্ক রাজ্য শিক্ষা দফতর। স্কুল খোলার জন্য যে ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সেগুলি কতটা কার্যকর হয়েছে, তা বুঝে নিতেই আজ স্কুলে স্কুলে পা দিতে চলেছেন পরিদর্শকদের দল।