তিন পাতার সুইসাইড নোট। জুন মাসে ক্লাস টেনের ছাত্রী কৃতিকা পাল শেষ করে দিয়েছিল নিজের জীবন। দক্ষিণ কলকাতার নামী স্কুলের শৌচালয় থেকে উদ্ধার হয় মেধাবী ছাত্রীর দেহ। পড়াশোনার চাপ ও বিভিন্ন মানসিক কারণে আত্মহত্যার মত সিদ্ধান্ত নেয় কৃতিকা।
সম্প্রতি রানিকুঠিতেও আত্মহত্যা করে ক্লাস টুয়েলভের ছাত্রী সুমেধা বসু। পড়ুয়াদের মনে কী চলছে? ক্ষোভ-অভিমান-রাগ জমে নেই তো? এসব জানতে এবার সতর্ক স্কুল শিক্ষা দফতর। স্কুল থেকে দেওয়া ডায়েরিতে অভিভাবকদের সন্তানের মানসিক পরিস্থিতি নিয়মিত লিখতে হবে।
advertisement
- ডায়েরিতে আলাদা কলাম থাকবে
- ওই কলামে অভিভাবকদের লিখতে হবে পড়ুয়ার মানসিক পরিস্থিিত কেমন আছে
পড়ুয়াদের আত্মহত্যার প্রবণতা ঠেকাতে শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রস্তাব মেনে উদ্যোগী স্কুল শিক্ষা দফতর। অভিভাবকদের বাধ্যতামূলকভাবে ডায়েরিতে লিখতে হবে
- সন্তান কোনও চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে আছে কি না
- চিকিৎসকের নাম ও ফোন নম্বরও দিতে হবে
- স্কুলের পড়াশোনার চাপ নিতে পড়ুয়া তৈরি কি না
রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর ইতিমধ্যেই সরকারি ও সরকারি অনুমোদিত স্কুলগুলিতে ডায়েরি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই পড়ুয়াদের এই ডায়েরি দেওয়া হবে।
- অভিভাবকদের লেখার পর ক্লাস টিচাররা ডায়েরি দেখবেন
- ক্লাস টিচাররা প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলবেন
- প্রয়োজনে স্কুলে কাউন্সিলর আনা হবে
স্কুল শিক্ষা দফতর মনে করছে, এতে আত্মহত্যার প্রবণতা যেমন ঠেকানো যাবে, তেমনিই শিক্ষক বা অভিভাবকদের সঙ্গে পড়ুয়ার মানসিক দূরত্বও কমবে।