কলকাতা শহর ও শহরতলিতে চলাচল করে প্রায় ৩০০০ স্কুল বাস। এই সমস্ত স্কুল বাস চলাচল করে কোথাও সরাসরি অভিভাবকদের সাথে চুক্তির ভিত্তিতে। কোথাও আবার বাস চলে স্কুলের সাথে চুক্তিতে। লকডাউন ঘোষণার পর থেকে বন্ধ রাজ্যের সমস্ত স্কুল। ফলে স্কুল বাসে করে যাতায়াতের দরকার নেই। এর জেরে গত দু'মাসের অভিভাবক বা স্কুলের তরফ থেকে প্রাপ্ত টাকা এখনও হাতে পায়নি স্কুল বাস সংগঠনের সদস্যরা। যার জেরে তাদের ভীষণ অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়েছে৷ রাজ্যের কন্ট্র্যাক্ট ক্যারেজ ওনারস অ্যান্ড অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মাসে তাদের জ্বালানি বাবদ খরচ হয় ২৯০০০ টাকা। চালকের বেতন ১২০০০ টাকা। হেল্পারের বেতন ৭৫০০ টাকা। সহকারীর বেতন ৭০০০ টাকা। গ্যারাজের জন্য মাসে ২৫০০ টাকা। এছাড়া ট্যাক্স, বিমা, ব্যাংক লোন সহ একাধিক খরচ আছে। এই বিপুল পরিমাণ টাকা আসে অভিভাবক ও স্কুলের তরফ থেকে।
advertisement
কিন্তু গত দু'মাস ধরে এই টাকা কলকাতার ৩০০০ স্কুল বাস জোগাড় করে উঠতে পারেনি। ফলে চালক, হেল্পারদের পরিবার নিয়ে চিন্তায় স্কুল বাস সংগঠন। হিমাদ্রী গাঙ্গুলী, সাধারণ সম্পাদক, ওয়েস্ট বেংগল কনট্র্যাক্ট ক্যারেজ ওনারস ও অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছেন, "লকডাউনের জেরে সমস্যায় পড়েছে স্কুল বাস মালিক ও কর্মীরা। সমস্যায় ৩৫০০ স্কুল বাস রয়েছে। আমরা সাহায্য চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রী ও পরিবহণ মন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। বাস চালাতে জ্বালানি বাদে খরচ ২৯০০০ টাকা।অভিভাবক ও স্কুল থেকে মিলছে না এই টাকা। অভিভাবকদের কাছে আমাদের আবেদন, ৩০% ছাড় দিয়ে টাকা দেওয়া হোক আমাদের।" এই বিষয়ে, আজ বৈঠক করলেন স্কুল বাস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা। অন্যদিকে, এই সংগঠনের প্রায় ১৫০০ বাস বিভিন্ন অফিস ও আই টি সেক্টরে চলাফেরা করে। সেগুলি থেকেও কোনও টাকা তারা পাননি। এই অবস্থায় সরকারি সাহায্য চেয়ে তাই আবেদন জানাচ্ছেন বাস মালিকরা।
ABIR GHOSHAL