কুণাল বলেন, “আর কয়েক মাসের মধ্যেই বাংলায় নির্বাচন। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চতুর্থবার ফিরবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এটা লিখে রাখুন,” — মন্তব্য কুণাল ঘোষের। তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি এখন নেতৃত্বের টানাটানিতে অভিনেতাদের ব্যবহার করছে কুৎসা ছড়ানোর জন্য। তাঁর কথায়, বিজেপির নেতা কম, তাই বিষোদ্গারে অভিনেতা দু’একজনকে এগিয়ে দেয়।”
advertisement
তাঁর বার্তা স্পষ্ট—“যে দুএকজন অভিনেতা বিজেপির হয়ে সরকার বদলের ডাক দিচ্ছেন, বাংলার বদনাম করছেন, তাঁদের সঙ্গে অভিনয়, সিনেমা রিলিজ বা প্রমোশন করে আমাদের তারকারা তাঁদের প্রচার দেবেন না।”
এই কারণেই ফ্রিজে বরফ জমে; সহজ কৌশল কাজে লাগিয়ে মুহূর্তের মধ্যে বরফ গলিয়ে নিন, দেখে নিন কী করতে হবে!
ট্যাঙ্কের জলে পুরু ময়লার আস্তরণ…দুর্গন্ধ? ৫ মিনিটে সাফ করুন, ঝকঝকে ‘জলাধার’ নিমেষে!
তিনি আরও বলেন,“বিরোধী সমর্থক শিল্পী তাঁর নিজের অধিকারে কাজ করবেন, তাতে সমস্যা নেই। কিন্তু দলবদলু কুৎসাকারীদের প্রমোট করা চলবে না। ভোটের ছ’মাস বাকি, এখন বিজেপির কুৎসাকারীর সঙ্গে ছবি বা প্রমোশন করা কোন্ কান্ডজ্ঞানে?”
কুণালের অভিযোগ, কয়েকজন তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ শিল্পী নিজেদের স্বার্থে বা ‘সৌজন্যের’ নামে সেই সব কুৎসাকারীদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক রাখছেন।
“আমি স্টার বলে সব সুবিধে নেব, সব দিক সামলে রাখব—এটা আপাতত চলবে না,” তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন।
তিনি পরিষ্কার করে বলেন,
“সব্যসাচী, বাদশা, কমলেশ্বরবাবু, রাহুল অরুণোদয়, পরাণবাবু, অঞ্জনা বসু—এঁদের আমি এই তালিকায় ধরছি না। এঁরা বাম বা বিজেপি সমর্থক হতে পারেন, কিন্তু দলবদলু নন। তাঁরা নিজেদের মতামতে চলেন, কুৎসা ছড়ান না।”
তবে যাঁরা দলবদল করে এখন তৃণমূল সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে “অতিকুৎসা” চালাচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সরব কুণাল। “জলঢোঁড়া, জোকারসহ এঁদের মতো কুৎসাকারীদের প্রমোট করলে আপত্তি থাকবেই,” বলেন তিনি।
কুণালের বক্তব্যে স্পষ্ট রাজনৈতিক বার্তা—
তৃণমূলের শিল্পী ও তারকাদের এখন সতর্ক থাকতে হবে। নির্বাচনের মুখে বিজেপি-ঘেঁষা বা দলবদলু অভিনেতাদের সঙ্গে প্রকাশ্যে মেলামেশা বা কাজ করা “দলীয় ভাবমূর্তির ক্ষতি” ডেকে আনবে।
