সিবিআই সূত্রে খবর, জীবন কৃষ্ণ সাহা বেলডাঙা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও সিবিআই সূত্রের খবর, তিনি নিজে বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন। বিধায়ক হয়ে যাওয়ার পরে নিয়ম অনুসারে শিক্ষকতা ছেড়ে সেই পদে যোগ দেন। সিবিআইয়ের প্রশ্ন, একজন সুস্থ ব্যক্তি কী ভাবে বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি পেয়ে গেলেন ? সে কারণেই কীভাবে চাকরিতে নিয়োগ হয়েছিল জীবন কৃষ্ণের, তা জানার চেষ্টা করছে সিবিআই।
advertisement
জীবনের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় রঘুনাথগঞ্জ পিয়ারাপারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করেন। সূত্রের খবর, এই আত্মীয়ের চাকরি নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে সিবিআইয়ের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সালে পরীক্ষার রেজাল্ট বেরনোর পর শোনা যায় ফেল করেন ওই আত্মীয় । তখন জীবনকে ফোন করে স্ত্রী জানান গোটা বিষয়টি। এরপর জীবন মানিক ভট্টাচাৰ্যকে ফোন করেন। এরপর অজানা জাদুবলে ওই আত্মীয় পাশ করে যান। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সালে অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার পান ওই ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। চাকরিতে যোগ দেন ওই আত্মীয়। ওই আত্মীয় উচ্চ মাধ্যমিক টেনে টুনে পাশ করেছিলেন। কী করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি পেলেন? খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
আরও পড়ুন: পার্থর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ, জীবনের 'আসল' রহস্যের খোঁজ পেল সিবিআই!
জীবনের স্ত্রী শিক্ষিত, চাকরি করেন আন্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পরীক্ষার নিয়ম অনুসারে চাকরি না কি এর পিছনেও অন্য কোনও রহস্য রয়েছে? তিন জনের চাকরি সিবিআইয়ের নজরে রয়েছে। এরা কি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন? নাকি পার্থ-মানিকের ঘনিষ্ঠ হওয়াতেই জীবন ও তাঁর আত্মীয়দের চাকরি হয়েছিল! তদন্তে সিবিআই। কী করে স্কুলে একই পরিবারের অনেকের চাকরি? একই পরিবারের এত জনের চাকরির পিছনে কোন রহস্য? জীবনকে জেরা করে জানার চেষ্টা করছে সিবিআইয়ের। পার্থ -মানিকের মতো একাধিক প্রভাবশালীর সঙ্গে যোগ জীবন কৃষ্ণর।
মানিক ভট্টাচাৰ্যের সঙ্গে এই জীবন কৃষ্ণ সাহার একাধিক ছবি রয়েছে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও জীবন কৃষ্ণর একাধিক অনুষ্ঠানে ছবি রয়েছে। সিবিআইয়ের প্রশ্ন, পার্থ-মানিকের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সেই সুবাদেই কি বিধায়কের ও নিজের আত্মীয়দেরও চাকরি হয়? জীবন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, প্রাইমারি-আপার প্রাইমারি দুর্নীতিতে সরাসরি যুক্ত। এজেন্ট হিসাবে কাজ করেছেন। পরে নিজেও চাকরি বিক্রির জাল তৈরি করেন। কোটি কোটি টাকা তোলেন। পার্থ-মানিকের ঘনিষ্ঠতাতেই কি বিধায়ক ও তাঁর আত্মীয়দের চাকরি হয়েছিল কি না সিবিআই তা খতিয়ে দেখছে।
অর্পিতা হাজরা