কাদের পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল নথি? শান্তনুকে জেরা করে আপাতত তারই হদিশ পাওয়ার চেষ্টা করছে ইডি-র তদন্তকারীরা। ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত নগদ ও সোনা উদ্ধার মিলিয়ে ১১১ কোটি টাকা উদ্ধার ও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাগরদিঘিতে কেন হারল তৃণমূল? মমতার তৈরি কমিটির রিপোর্টে বিস্ফোরক দাবি! হইচই
advertisement
এদিকে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুগলির বাড়ি থেকে যে ৩০০ জনের লিস্ট পাওয়া গিয়েছিল, তারমধ্যে যে ১০ জন চাকরি পেয়েছিল, তাদের তলবের প্রক্রিয়া শুরু করল ইডি। হুগলির বলাগড়ের তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। গত ২০ জানুয়ারিই এই তৃণমূল নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। সেই সময় তাঁর বাড়ি থেকে চাকরিপ্রার্থীদের নাম, অ্যাডমিট কার্ড, সুপারিশ পত্র পাওয়া গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: 'গোপন' সার্কুলার জারি বঙ্গ বিজেপির, রবিবার থেকেই শুরু 'খেলা'! বাইকেও হতে পারে বাজিমাত
তাঁর বাড়িতে কীভাবে এসেছিল ওই সব নথি? নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষের সঙ্গেই বা তাঁর কী সম্পর্ক? সে সবই তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলেন ইডির আধিকারিকেরা। কিন্তু, সেই সমস্ত প্রশ্নের সন্তোষজনক কোনও উত্তর দিতে পারেননি ওই তৃণমূল নেতা। সূত্রের খবর, শান্তনুর সঙ্গে কুন্তলের একাধিক আর্থিক লেনদেনের হদিস পাওয়া গিয়েছে। তাছাড়া, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত তাপস মণ্ডলের সঙ্গে নাকি কুন্তলের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন এই শান্তনুই। ইডি-র দাবি, এই শান্তনুই নাকি ঠিক করতেন, কত টাকায় স্কুলের চাকরি বিক্রি করা হবে।