নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত নীলাদ্রি দাসের বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে বলে দাবি করেছে সিবিআই। ওএমআর শিট বিকৃত করে শুধু নম্বর বাড়ানো নয়, নম্বর কমানোর কাজও করতেন নীলাদ্রি'। শূন্যপদ সৃষ্টির জন্য নম্বর কমানো হত বলে দাবি সিবিআই-এর। এসএসসি কর্তাদের নির্দেশেই এই কাজ হত বলে দাবি সিবিআই-এর।
'নাইসার ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন নীলাদ্রি দাস'। 'কিন্তু নাইসা ছাড়াও উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় নতুন সংস্থা খুলেছিলেন নীলাদ্রি'। 'এনডি ইনফো সিস্টেম প্রাইভেট লিমিটেড নামে নতুন সংস্থা খোলেন নীলাদ্রি। এই সংস্থার মাধ্যমেও ওএমআর শিট বিকৃতির কাজ চলত বলে দাবি সিবিআই-এর।
advertisement
আরও পড়ুন: এবার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে ঠাঁই আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির
চার্জেশিটে ধৃতের বিরুদ্ধে ১২০ বি ( অপরাধ মূলক ষড়যন্ত্র ), ২০১ (তথ্যপ্রমাণ লোপাট ), ৪২০ ( প্রতারণা ), ৪৬৭ (নকল ডকুমেন্টস তৈরি করা), ৪৬৮ (নকল নথি বানিয়ে ব্যবহার), ৪৭১ আইপিসি এবং প্রিভেনশন অফ কোরাপশন এক্ট ৭ & ৮ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। সূত্রের খবর, নাইসার আরও একাধিক আধিকারিকের উপরে এবার নজর রয়েছে সিবিআইয়ের। তাদেরও দ্রুত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে সিবিআই সূত্রের খবর। গোয়েন্দাদের দাবি, omr শিট বিকৃত করার জন্য একটা টিম তৈরি করেছিলেন নীলাদ্রি৷ তাঁদের প্রত্যেককেই নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা দেওয়া হতো৷ সিবিআইয়ের দাবি, নীলাদ্রিকে জেরা করে জানা গিয়েছে, এই কাজ organized way-তে করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সতর্কতা ! রাজ্যের বাকি জেলাগুলির আবহাওয়ার আপডেট জেনে নিন
এমনকি, শুধু টিম তৈরিই নয়, নীলাদ্রি বহু এজেন্টও রাজ্যজুড়ে ছড়়িয়ে ছিল। তারাও টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার ক্যান্ডিডেট ধরে আনত৷ সিবিআই সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব মেদিনীপুর সহ একাধিক জায়গায় ৯ এজেন্টের নাম মিলেছে ধৃত নীলাদ্রিকে জেরা করে। সূত্রের খবর, ২০১৮ সালে নাকি এসএসসি শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে ঝামেলা হয় নীলাদ্রির। কারণ, এসএসসি আধিকারিকরা যে নাম সুপারিশ করতেন, টাকার বিনিময়ে সেখানে নিজস্ব প্রার্থীদের নাম ঢুকিয়ে দিত নীলাদ্রি। এসএসসি কর্তারা বিষয়টি বুঝতে পারেন। চাকরি নামে প্রতারণা করার অভিযোগে নীলাদ্রির বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের হয় পটাশপুরে। ২০১৯ সালের ৭ মার্চ নীলাদ্রিকে গ্রেফতার করে সিআইডি।