সুজয় বাবুর, তিনজন শ্যালক মোটের ওপর বেকার বলা চলে। কেউ কোনো দোকানের সেলসম্যান, কেউ বা ছোটখাটো ভাবে প্রোমোটিংয়ের কাজের সঙ্গে যুক্ত। ইডির আধিকারিকেরা তাদের বাড়িতে বিভিন্ন কাগজপত্র ঘেঁটে কিছু নথি উদ্ধার করেন। শ্বশুরবাড়ির ঘরে ঢুকতেই একটি আলমারি ছিল। সেই আলমারির চাবি না পেয়ে অবশেষে মিস্ত্রি ডেকে এনে আলমারির চাবি ভাঙায় ইডির আধিকারিকেরা।
advertisement
আরও পড়ুন: সারারাত ধরে এ কী করল SFI! কলকাতায় চমকে দিল বাম ছাত্র সংগঠন
সেই আলমারি থেকে বেশ কিছু সোনা কেনার এবং সোনা বন্ধক রাখার কাগজপত্র উদ্ধার করে। পরে বেহালা ম্যানটনের সেই সোনার দোকানে গিয়ে কাগজগুলি পরীক্ষা করে আসেন ইডির আধিকারিকরা। প্রায় ১৩ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে অবশেষে ইডির টিম কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করে ওখান থেকে বেরিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ২০০০ টাকার নোট বন্ধে কার ভয়? দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে তুঙ্গে শোরগোল! নিশানায় কে?
এছাড়াও সুজয়বাবুর শ্বশুরবাড়ির পাশে একটি অফিস রয়েছে। সেই অফিসের মধ্যে গিয়ে প্রচুর পরিমাণে দামী মদের বোতল এবং ল্যাপটপ, কম্পিউটার পেয়েছে ইডি। সেখান থেকে একটি হার্ডডিস্ক সংগ্রহ করে বলে সূত্রের খবর। সুজয় ভদ্রের আত্মীয়দের মিলে এবং অফিস মিলে মোট ৫ জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। এরপর এক ঘনিষ্ঠকে দিয়ে ইডি-র কাছে কিছু নথিও পাঠান ‘কালীঘাটের কাকু’। এবার সশরীরে তাঁকে হাজির হতে নোটিস দিল ইডি।
এদিকে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য জ্ঞানানন্দ সামন্ত এবং সিভিক ভলেন্টিয়ার রাহুল বেরা শুক্রবার ইডি দফতরে আসেন। তাদেরকে তলব করা হয়েছিল ইডির পক্ষ থেকে।