দিল্লি থেকে হঠাৎ কলকাতায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) প্রধান সঞ্জয় মিশ্রর আসা নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছেন ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। সেই গ্রেফতারির পরই ইডি ডিরেক্টরের কলকাতায় আসা নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যাঁকে নিয়ম বদলে গত নভেম্বরে তৃতীয়বারের জন্য ইডির প্রধান হিসাবে বহাল করেছে কেন্দ্র। আরও ১ বছরের জন্য বাড়িয়েছে ওই পদে সঞ্জয়ের কাজ করার মেয়াদ।
advertisement
আরও পড়ুন: দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়া আইনজীবীদের জন্য চমক, ‘খোকাবাবুর বাড়ি’ নিয়ে বিস্ফোরক অধীর
পাশাপাশি আগামী শনিবার কলকাতাতেই আয়কর দফতর সহ একাধিক দফতরের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে কালো টাকা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বৈঠকে বসার কথাও ইডি ডিরেক্টরের। ইডি সূত্রে খবর, কীভাবে চাকরি চুরির কোটি কোটি কালো টাকা সাদা করা হয়েছিল, স্ক্যানারে থাকা সংস্থার ডিরেক্টরকে কাকুর মুখোমুখি বসিয়ে ইডির জিজ্ঞাসাবাদ হবে বলেই জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৭ জুনের পর হবে সেই বৈঠক, বীরভূম নিয়ে বড় দাবি তুললেন শতাব্দী রায়! তীব্র শোরগোল
এদিকে, রিমান্ড লেটারে ইডি দাবি করেছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসই ছিল নিয়োগ দুর্নীতির আসল জায়গা! যাবতীয় চাকরি-বিক্রির বৈঠক হত সেখানেই। ‘তৎকালীন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর কাছে আসতেন কালীঘাটের কাকু, ‘মানিকের ফোনের পাশাপাশি তাপস মণ্ডলকেও জেরায় সুজয়কৃষ্ণ সম্পর্কে প্রচুর তথ্য। ২০১৪-র টেটের ৩২৫ জন চাকরিপ্রার্থীর তালিকা সুজয়কৃষ্ণর হাত হয়ে পৌঁছয় মানিকের কাছে। ৩২৫ জনকে চাকরি বিক্রির নামে তাপসের থেকে ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা নেন কুন্তল’। জেরায় স্বীকার তাপস মণ্ডলের, রিমান্ড লেটারে দাবি ইডির।