কেন চিকিৎসককে তলব? সূত্রের দাবি, কুন্তল ঘোষ বিশেষ সিবিআই আদালত ও হেস্টিংস থানাতে যে অভিযোগ পত্র বা চিঠি পাঠিয়েছিলেন, তাতে সরাসরি দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ আনেন। সেই সূত্র ধরেই সিবিআই কর্তারা জেনে নিতে চাইছেন যে, কুন্তল কখনও সংশোধনাগার হাসপাতালে চিকিৎসকের কাছে নিগ্রহের অভিযোগ করেছিলেন কি না। আবার এই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে যে চিকিৎসক কুন্তলের চিকিৎসা করতে গিয়ে কখনও মারধরের চিহ্ন বা নিগ্রহের কোনও বিষয় লক্ষ্য করেছিলেন কি না। তাই কুন্তলের আনা অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতেই জেল হাসপাতালের চিকিৎসককে তলব করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ভয়াবহ! কী এমন ঘটছে বঙ্গোপসাগরে? বাংলার মৎস্যজীবীদের নির্দেশ, ‘তাড়াতাড়ি ফিরুন’
প্রসঙ্গত এই তদন্তে এর আগে কুন্তলের বয়ান রেকর্ড করেছে সিবিআই। ডেকে পাঠানো হয়েছিল প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপারকেও। সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছিল, সুপারের বক্তব্য সন্তোষজনক নয়। সূত্রের দাবি, সংশোধানাগারের সুপার হিসেবে তিনি তার কর্তব্য পালন করেছেন বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদে।
আরও পড়ুন: অনুব্রতের পথেই শতাব্দী! কেষ্টকে নিয়ে যা বললেন, তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি!
যদিও সিবিআই সূত্রে দাবি, কোন পরিস্থিতিতে কুন্তল ঘোষ চিঠি লিখেছিলেন? চিঠি লেখার আগে সংশোধনাগারের কোনও আধিকারিকের সঙ্গে কুন্তল কথা বলেছিলেন কি না? বা সুপারকে অভিযোগের কথা আগে বলেছিলেন কুন্তল ? এমনই বেশ কিছু প্রশ্নের মুখে নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্যের কথা বলেন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপার। প্রসঙ্গত ৩১ মার্চ ও পয়লা মে সংশোধনাগারে বসে চিঠি লেখেন কুন্তল ঘোষ। সেই চিঠি নিয়ে বিশেষ সিবিআই আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে কুন্তলকে। জানুয়ারি মাসে তাকে গ্রেফতার করে ইডি। ফেব্রুয়ারি মাসে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল সিবিআই। তার পর একাধিক বার আদালতে পেশ করা হয়েছে তাকে। কিন্তু সেখানে এহেন কোনও অভিযোগ আনেননি তিনি। হঠাৎ এতদিন পর চিঠি দিয়ে অভিযোগ কেন করলেন কুন্তল? তাহলে কী কারও পরামর্শ? এই প্রশ্ন ওঠে আদালতেও।