অন্যদিকে, গ্রুপ ডি মামলাতেও ইতিমধ্যেই চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। সুব্রত সামন্ত রায় এবং প্রসন্ন রায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। এসপি সিনহা ও খালেক মোল্লার ৩১ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, এসপি সিনহা একটা ফ্ল্যাট কিনেছেন। যার দাম ৫০ লক্ষের বেশি। অপরূপা মিত্র নামে একজনের নামে কেনা হয় সেই ফ্ল্যাট। বেনামে সম্পত্তি কেনা হয়। তিনি এসপি সিনহার স্ত্রীর ছোটেবেলার বান্ধবী। সেই ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা পাওয়া যায়। ৬০ লক্ষের গয়না মেলে। গয়না কেনা ও ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুর সঙ্গে বিউটি পার্লারের ব্যবসা আছে সিনহার স্ত্রীর।
advertisement
আরও পড়ুন: কী দুরবস্থা অনুব্রত মণ্ডলের! জেল থেকে বারবার ছুটতে হচ্ছে, কিন্তু কোথায়? জানলে চমকে উঠবেন
এদিকে, নবম ও দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। সোমবার আলিপুরে বিশেষ সিবিআই আদালতে চার্জশিট পেশ করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। এদিন চার্জশিট পেশ হয়েছে নিয়োগ দুর্নীতির ৩ দালাল কৌশিক ঘোষ, আলি ইমাম ও শাহিদ ইমামের বিরুদ্ধে। এদের বিরুদ্ধে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোটি কোটি টাকা তোলার অভিযোগ এনেছে তদন্তকারী সংস্থা।
আরও পড়ুন: নবান্নে ঢুকেই বিরাট চমকে দিলেন মমতা! এমন সারপ্রাইজ দিলেন, শুরু তুমুল তৎপরতা
গত ফেব্রুয়ারিতে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন কৌশিক ঘোষ, আলি ইমাম ও শাহিদ ইমাম। তার পর থেকে তারা জেলবন্দি রয়েছেন। এদের মধ্যে কৌশিক বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার ঘনিষ্ঠ। ইতিমধ্যে জীবনকৃষ্ণকেও নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করেছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। ওদিকে আদালতের নির্দেশে চাকরি চলে গিয়েছে কৌশিক ঘোষের বোনের। যার পর আত্মঘাতী হয়েছেন কৌশিকের ভাগ্নী। এহেন কৌশিক ঘোষ মোটা মাইনের সরকারি চাকরি ছেড়ে চাকরির দালালি শুরু করেন বলে জানিয়েছে সিবিআই।