পাশাপাশি তিনি এও বলেন, ‘কাল অত্যন্ত সৌজন্যমুলক ব্যবহার করেছেন ইডির অফিসাররা। আরও কিছু নথি বাকি রয়ে গেছে। নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আমি কারুর ছবি বা পোস্টার ফেলে দিই নি। কেউ প্রমাণ দিক। মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় আমার ফোনের নয়, মনের ওয়াল পেপারে আছেন।’
আর লাল শালু, কুপন বা স্টেশনে কৌটো নিয়ে অর্থ সংগ্রহ নয়, টাকা তুলতে কিউআর কোড চালু সিপিএমের
advertisement
কুন্তল ঘোষ প্রসঙ্গে তাঁর জবাব, ‘কুন্তলের সঙ্গে কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছে কি না তা তদন্তেই উঠে আসবে।’ ইডির নোটিস মিলেছিল ৪৮ ঘণ্টা আগে। সেই মতো প্রায় নির্দিষ্ট সময়েই গতকাল সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। প্রায় সাড়ে ১১ ঘণ্টা চলে মারাথন জেরা। কী প্রশ্ন করা হয়েছে, সেই নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও, সায়নী জানিয়েছেন, তিনি ১০০ শতাংশ সহযোগিতাই করেছেন। তিনি এও বলেন, তদন্তের প্রয়োজনে তিনি ২৪ ঘণ্টাও থাকতে প্রস্তুত। তবে এখনই মেলেনি রেহাই। আগামী বুধবার ফের তাঁকে তলব করা হয়েছে।
ঢোকার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নে সায়নী বলেন, ‘আমি তদন্তে সহযোগিতা করব। নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত ছিলাম, ৪৮ ঘণ্টা আগে নোটিস পাঠানো হয়েছে। তদন্তে সহযোগিতা করতেই এসেছি।’ সূত্রের খবর, সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে এদিন উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তকারী অফিসারেরা। এছাড়াও ইডি-র একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার অফিসারও জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। রেকর্ড করা হয় সায়নীর বয়ান।
আরও পড়ুন- একটানা বৃষ্টিতে ফুঁসছে তিস্তা… তিন জেলায় কমলা সতর্কতা, সপ্তাহান্তে বড় বদল? জানুন আপডেট
স্পষ্টভাবে কিছু জানা না গেলেও প্রাথমিক অনুমান, সায়নীর সঙ্গে কুন্তলের হোয়াটসঅ্যাপের কথোপকথন দেখিয়ে ব্যাখ্যা, কুন্তলের সঙ্গে সায়নীর যোগাযোগ বোঝাতে তাঁদের এক ফ্রেমে থাকা ছবিগুলিও দেখানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, কুন্তল ঘোষের সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্তে উঠে আসে সায়নী ঘোষের নাম। এই সম্পত্তি কেনাবেচাতেও নাম জড়িয়েছে সায়নীর। সেই প্রসঙ্গেই তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভানেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির, এমনটাই জানা যাচ্ছে।