প্রসঙ্গত গত ১৪ অগাস্ট কামারহাটিতে একটি দলীয় কর্মসূচিতে সৌগত বলেন, ‘‘তৃণমূলের সমালোচকদের গায়ের চামড়া দিয়ে পায়ের জুতো তৈরি হবে। তৃণমূলের সব চোর বলে মিছিল করলে পার্টি অফিসে ঢুকে যেতে হবে।’’ এখানেই শেষ নয়, খড়দহে তিনি বলেন, ‘‘যে দোষ করেছে তার শাস্তি হবে। কিন্তু সবাইকে চোর বললে আমরাও রুখে দাঁড়াব, উপযুক্ত শিক্ষা দেব। চোর না হয়ে বদনাম শুনতে পারব না।’’
advertisement
পরে ২৭ অগাস্ট কামারহাটিতেও ফের বলেন, ‘‘সিপিএম, বিজেপি যদি আমাদের চোর বলে উত্ত্যক্ত করে, তা হলে কিন্তু তৃণমূল কর্মীরা চুপ করে বসে থাকবে না। আমরা একবার রুখে দাঁড়ালে ওদের এলাকা ছাড়া হতে হবে।’’ তাই নিয়ে শুরু হয়ে যায় শাসক দল ও বিরোধীদের কাদা ছোড়াছুড়ি। তবে এইসব মন্তব্য যে আপাতত তিনি সরছেন না সে কথা আজ স্পষ্ট করে দিলেন সৌগত।
এদিকে এরইমধ্যে তৃণমূলে অস্বস্তি বাড়িয়ে তারকা নেত্রীদের নাম করে এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো। তাঁর মন্তব্য, 'জুন মালিয়া, সায়নী, সায়ন্তিকা, মিমি, নুসরতরা লুটেপুটে খাচ্ছে। এরা দলের সম্পদ হলে দল করা যাবে না’। ক্রেতা সুরক্ষা প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোর এই মন্তব্য ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। এই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে সৌগত রায় এদিন বলেন, "আমি এর আগেও বলেছি শ্রীকান্ত মাহাতো এই কথা বলে ঠিক করেনি, নুসরত মিমি, সায়ন্তিকা, এরা অভিনয় জগতের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত, এরা দলে আসা মানে দলের মূল্য বেড়েছে, এরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে দলে এসেছেন, তাই এঁদের সম্পর্কে এই কথা না বলাই ভাল।"
আরও পড়ুন: চুক্তি ভিত্তিক কর্মীদের মেয়াদ শেষ! আচমকা দেশজুড়ে থমকে গেল ডাক্তারি গবেষণা
এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ষের জবাব দিতে গিয়ে প্রবীণ রাজনীতিবিদ বলেন, "অনেক দিন পরিবহন মন্ত্রী ও সেচমন্ত্রী ছিলেন শুভেন্দু। কত টাকা দলকে দিয়েছেন আর কত টাকা রেখেছেন, সেটা আগে বলুন, তারপর উত্তর দেব।" শুভেন্দু অধিকারীর কোনও কথার উত্তর আমরা দিতে চাই না, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে বিরাট পরিমাণে অর্থ উনি পাচ্ছেন।
বিজেপির নবান্ন অভিযান নিয়ে কটাক্ষ করে সৌগত রায় বলেন, "বিজেপি নির্বাচনে হেরে যায়, রাস্তায় ওদের লোক নেই, নবান্ন অভিযান ডেকে দু' দু-বার বাতিল করে। ওরা কেন এত বড় বড় কথা বলে, সংবাদ মাধ্যম ওদের বক্তব্য না দেখালে ওদের বড় বড় কথা বন্ধ হয়ে যাবে।