রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য, রাজভবন তথা রাজ্যপালের উপর চাপ বাড়াতে বঙ্গ বিজেপিকে দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এমন নির্লজ্জ আক্রমণ করাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘ওরা ভয় দেখাচ্ছে, বিজেপির একাংশকে দিয়ে চাপ তৈরি করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। জগদীপ ধনখড়ের মতো পার্টির লোকের আচরণ করা রাজ্যপালের ভূমিকা দেখে ওদের অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। ওরা চাইছে রাজভবন ফের বিজেপির পার্টি অফিস হয়ে যাক।’’
advertisement
আরও পড়ুন: থাকবেন মমতা, ডাক শুভেন্দুকেও! রাজভবনে আজ হাতেখড়ি, বাংলা শিখবেন রাজ্যপাল
এখনও পর্যন্ত রাজ্যপাল নিরপেক্ষ রয়েছেন বলে মন্তব্য করে কুণাল বলেন, 'বিজেপিতে যারা সুস্থ সংস্কৃতি ও ভাবনার পথে আছেন, তাঁদের স্বপন দাশগুপ্তর বিরোধিতা করা উচিত। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র জাগো বাংলায় উল্লেখ হয়েছে, জগদীপ ধনখড়ের স্টাইলে বিজেপি নেতার মতো আচরণ তিনি করছেন না। পরিবর্তে সি ভি আনন্দ বোস সাংবিধানিক প্রধানের মতোই আচরণ করছেন। আর তাতেই জ্বলে-পুড়ে ছারখার বিজেপি। ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়ল বিড়াল। সরাসরি বাংলার রাজ্যপালকে বিজেপির কদর্য আক্রমণ, কটাক্ষ, উপহাস। বলা হল রাজ্যপাল নাটক করছেন, রাজ্যপাল দায়িত্ব পালন করছেন না, রাজ্যপাল পর্যটক নন, রাজ্যপাল অবসরের পর বাংলায় ঘুরতে আসেননি, রাজ্যপাল পদটা ইয়ার্কি করার নয়, রাজ্যপাল জেরক্স কপি। এমনকী বিরোধী দলনেতাকে রাজ্যপালের শপথ অনুষ্ঠানে সামনে বসতে না দেওয়ার মধ্যেও রাজনীতি দেখছে বিজেপি।'
আরও পড়ুন: বাগদেবীর আরাধনা হবে না স্কুলে! কারণ, এই একমাত্র পড়ুয়া
অন্যদিকে, বিজেপির তরফে দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করেছেন, "প্রথমেই যদি ভুল মাষ্টারের হাত ধরে হাতেখড়ি হয় তাহলে তো ভুলই শিখবেন। তাহলে ভাল শিক্ষক বাছাই করুন। অবশ্যই বাংলা শেখা উচিত। বাংলা সাহিত্য পড়লে আরও ভাল লাগবে।"