পরিবারের দাবি, মেক আপের আর্টিস্ট ছিলেন সরস্বতী। করতেন মেহেন্দি আর্টিস্টের কাজও। পাশাপাশি করতেন টিউশন। ভালোবাসতেন ছবি তুলতে। কিন্তু কী কারণে মাত্র উনিশ বছরের তরতাজা এক তরুণীর এরকম পরিণতি আজ? কী এমন ঘটল যে জীবন শেষ করে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্তের পথ বেছে নিলেন তিনি? নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে এই মৃত্যুর পিছনে?
advertisement
আরও পড়ুন:বিদিশা-মঞ্জুষার পর সরস্বতী? ফের যুবতীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার শহরে! মৃত্যু ঘিরে বাড়ছে রহস্য
পুলিশ সূত্রে খবর, কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। কী কারণে মৃত্যু? মানসিক অবসাদ? কোনও সম্পর্ক ছিল? কোনও সম্পর্কর টানাপোড়েন কিনা সেটাও খতিয়ে দেখবে পুলিশ। কসবাতে মামার বাড়িতে দিদা, মায়ের সঙ্গে থাকতেন স্বরস্বতী দাস। পরিবারের দাবি, গতকাল রাতে ফোনে কথা বলছিলেন কারণ তাঁর এক আত্মীয় ফোন করেন যখন তখন অন্য ফোন কেটে আত্মীয়র ফোন ধরেন। সেক্ষেত্রে কারো সঙ্গে সম্পর্ক ছিল কিনা নিশ্চত নন পরিবারের লোকেরা।
কেন বারবার একের পর এক তরুণীরা আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন? কী কারণ রয়েছে নেপথ্যে? গত কয়েক দিনের ব্যবধানে পর পর মডেল অভিনেত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছে কলকাতাবাসীর মন-মস্তিষ্ক। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই নিয়ে উঠেছে আলোচনার ঝড়। অবসাদ না সম্পর্কের টানাপোড়েন এই নিয়ে ধন্ধে পরিবারগুলিও।
আরও পড়ুন: আচমকা রান্নাঘরে চড়াও... এলোপাথাড়ি চলল ছুরি! হাড়হিম ঘটনা হরিদেবপুর নেশামুক্তি কেন্দ্রে
উল্লেখ্য, মাত্র সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই প্রথমে গরফায় অভিনেত্রী পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় কিছু দিন আগে। তারপর নাগেরবাজারে মডেল বিদিশার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তার দুদিন পর পাটুলিতে অনেকটা একইভাবে মঞ্জুষা নিয়োগীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। আর এবার স্বরস্বতী দাস। পর পর চার জন তরুণীর মৃত্যুতে হতবাক শহরবাসী। অন্যদিকে সরস্বতীর পরিবারের দাবি, তাঁর ঘরে একটি খাতা পাওয়া গিয়েছে, তাতে মায়ের উদ্দেশ্যে কিছু কথা লিখেছে সরস্বতী। মা সবসময় অনুপ্রেরণা দিয়েছে বলেও লিখেছেন সেইসঙ্গে মাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। মা ও মাসি আয়ার কাজ করেন। ফলে শনিবার দিদা ছাড়া আর কেউ ছিল না বাড়িতে। ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবার থেকে পাড়া প্রতিবেশিদের মধ্যেও। গোটা বিষয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে কসবা পুলিশ।
অর্পিতা হাজরা