এই নিয়ে শাসক বিরোধীদের মধ্যে তরজা লেগে রয়েছে। ভাঙড়ের বিধায়ক ও আইএসএফের চেয়ারম্যান নওসাদ সিদ্দিকি নিজের বিধানসভা এলাকায় ঢুকতে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, আইএসএফকে আটকাতে, তাঁকে আটকাতে ১৪৪ ধারার ব্যবহার করা হচ্ছে। অথচ শাসকদলের নেতারা সেখানে মিছিল করলেও কেউ আটকাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: জেলেও বিপাকে মানিক, প্রয়োজনে রাত ১২টার পরেও জিজ্ঞাসাবাদ! সিবিআই-কে নির্দেশ বিচারপতির
advertisement
অথচ তাঁর এলাকায় যেতে না পারার জন্য অনেক কাজ আটকে রয়েছে। সমস্যায় পড়ছেন এলাকার নাগরিকরা। এর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলে দাবি তাঁর। পাল্টা শাসক দলের নেতা শওকত মোল্লা হিংসার জন্য নওসাদ সিদ্দিকি এবং আইএসএফ-কে দায়ী করেছেন। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ। দাবি পাল্টা দাবি চলছে। কিন্তু ১৪৪ ধারা জারি থাকায় সাধারণ মানুষের যে সমস্যা হচ্ছে, তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন শওকত।
তাই সেখান থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা প্রয়োজন এমনটাই মনে করেন তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা। সোমবার বিধানসভায় সাংবাদিকদের তিনি জানান, “ভাঙড়ে প্রচুর মানুষ ১৪৪ ধারার জন্য সমস্যায় রয়েছেন। ভাঙড়ের জনজীবন ব্যাহত হচ্ছে। এই এলাকায় মূলত সবজি চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন বহু মানুষ। যে সবজি শুধুমাত্র রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই নয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তেও রফতানি হয়। সেই কাজ করতেও সমস্যা হচ্ছে। এলাকার বহু দরিদ্র মানুষ এই সবজি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়াও সেখান থেকে প্রচুর মানুষকে বাইরে যাতায়াত করতে হয় সেগুলোও সম্ভব হচ্ছে না ১৪৪ ধারা জারি থাকার জন্য। আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানাতে চাই যে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হোক। যাতে এইসব মানুষ স্বাভাবিকভাবে নিজেদের জীবন জীবিকা পালন করতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও যথেষ্ট মানবিক। তাঁর নজরেও এই বিষয়টা রয়েছে। আশা করি তিনি এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করবেন।”
ভাঙড়ে অশান্তির জন্য আইএসএফ এবং নওশাদ সিদ্দিকিকেই দায়ী করেছেন শওকাত। তিনি বলেন, “নওশাদ সিদ্দিকিকে ওই এলাকার মানুষ চিনে ফেলেছেন। তাই সেখানে তিনি একবার কেন বারবার যেতেই পারেন কিন্তু মানুষ তাঁর কথায় আর গলবে না সেটা বোঝা যাচ্ছে।”