সঞ্জয়ের বাড়ি শম্ভুনাথ পণ্ডিত স্ট্রিটে। বাড়ির দরজার সামনে লোহার গেট। থমথমে গোটা পাড়া বা এলাকা বলা ভাল। প্রতিবেশীদের একাংশ জানিয়েছেন, সঞ্জয়ের মায়ের মানসিক অবস্থা ঠিক নেই। সকালে কয়েকজন তাঁকে সমবেদনা জানাতে তিনি চিৎকার করে ভিতরে ঢুকে যান।
আরও পড়ুনঃ ঠিক কখন সাজা ঘোষণা…? শিয়ালদহ কোর্টে ঢুকল সঞ্জয়, অবশেষে ফাঁসি নাকি যাবজ্জীবন!
advertisement
কেমন ছিলেন সঞ্জয়? এক প্রতিবেশী জানান, “যতটা খারাপ ভাবা হচ্ছে, ততটাও নয়। আবার ভালও নয়।” অন্য এক ওই প্রতিবেশী জানান, যে সময়ে ঘটনা ঘটে, তখন কী মানসিক অবস্থায় সে ছিল, তা জানা নেই। তবে অনেক প্রতিবেশীই দাবি করেছেন, সঞ্জয়কে ফাঁসানো হয়েছে। তবে প্রতিবেশীদের প্রায় সকলেই একমত, খুন-ধর্ষণের ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত রয়েছে সম্ভবত।
আরজি করের সেমিনার হল থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পরের দিনই সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। তার পর সিবিআই এই মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে। তদন্তের পর সিবিআই যে চার্জশিট আদালতে জমা দিয়েছে, তাতে সঞ্জয়কেই একমাত্র অভিযুক্ত বলে চিহ্নিত করা হয়। ঘটনার দিন হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে সঞ্জয়কে দেখা গিয়েছিল। শনিবার শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস এই মামলায় সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করে। আজই সাজা ঘোষণা করবে আদালত।