এ দিন হাসপাতালের তরফে মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয় সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা সংকটজনক। কমে গিয়েছে ব্লাড প্রেসার। পেটের যন্ত্রণাও হচ্ছিল।ফলে কোনও ঝুঁকি না নিয়ে ফের ICU-তে নিয়ে যাওয়া হয় 'গীতশ্রী'কে, রাখা হয় ভেসোপ্রেসার সাপোর্টে। কিন্তু চিকিৎসকদের সব চেষ্টার পরেও আর সাড়া দেননি তিনি। সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিট নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। এ দিন প্রথম ট্যুইট করে শিল্পীর মৃত্যুর খবর জানান তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন (Santanu Sen)।
advertisement
প্রসঙ্গত, গুরুতর অসুস্থ হয়ে ২৭ জানুয়ারি এসএসকেএম-এ ভর্তি হয়েছিলেন তিনি (Sandhya Mukhopadhyay health update)। সেই সন্ধেতেই তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। স্থানান্তরিত করা হয় অ্যাপোলো হাসপাতালে। সেখানে কোভিড আইসোলেশন বিভাগে ছিলেন গায়িকা। অবশেষে করোনা নেগেটিভ হিসেবে চিকিৎসা চলছে তাঁর। দিন কয়েক আগে সামান্য উন্নতি হয়েছিল সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার। কিন্তু আজ আবার শরীর খারাপ হওয়ায় উদ্বিগ্ন তাঁর অনুরাগীরা।
আরও পড়ুন: যুগের অবসান! প্রয়াত গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়
অ্যাপোলোতে ৬ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল তাঁর চিকিৎসার জন্য। তিনি ডক্টর সুশান মুখোপাধ্যায় (ডিরেক্টর এবং এইচওডি কার্ডিওথোরাটিক সার্জারি) এবং কার্ডিওলজির এইচওডি ডক্টর প্রকাশ চন্দ্র মণ্ডলের চিকিৎসাধীন ছিলেন। পালমোনলজিস্ট দেবরাজ জস ও সিনিয়র অর্থোপেডিক সার্জেন রঞ্জন কামিলিয়াও এই টিমে ছিলেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় করোনা পজিটিভের পাশাপাশি ফুসফুসে গভীর সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। এ ছাড়াও একাধিক অঙ্গ ঠিকভাবে কাজ করছিল না, মাইল্ড হার্ট অ্যাটাকও হয়। তারপরেই ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়েন তিনি। সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিট নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর।