হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ‘গীতশ্রী’-র নতুন করে কোনও শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়নি। তবে তাঁর রক্তচাপ কম, ভেসোপ্রেসর সাপোর্টের মাধ্যমে ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখা হচ্ছে (Sandhya Mukhopadhyay Health Update)। নবতিপর গায়িকার ফুসফুস ও হৃদ্যন্ত্রের চিকিৎসা চলছে। তাঁর ইসকিমিক হার্ট ডিজিজ রয়েছে, বৃহস্পতিবার হার্ট ফেলিওর-ও হয়। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের শ্বাস-প্রশ্বাসেরও সমস্যা রয়েছে, এখনও অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে শিল্পীকে। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের (Sandhya Mukhopadhyay) একাধিক অঙ্গ ঠিকভাবে কাজ করছে না অর্থাৎ মাল্টি অর্গ্যান ডিসফাংশন রয়েছে। তবে, গায়িকার জ্ঞান রয়েছে, তিনি মানসিকভাবে সচেতন, রাইস টিউব নয়, মুখ দিয়েই খাবার খাচ্ছেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: খিচুড়ি থেকে শুরু করে গোটা সেদ্ধ, আজ ‘দুয়ারে ভোগ’ রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের উদ্যোগে
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের চিকিৎসায় গঠিত হয়েছে ৬ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড। রয়েছেন ডঃ শুসান মুখোপাধ্যায় (ডিরেক্টর ও এইচওডি, কার্ডিওথোরাসিক সার্জারি), ডঃ প্রকাশ চন্দ্র মণ্ডল (এইচওডি কার্ডিওলজি), ডঃ বুদ্ধদেব চট্টোপাধ্যায় ( ডিরেক্টর, অর্থোপেডিক), ডঃ রঞ্জন কামিল্যা (সিনিয়র কনসালট্যান্ট, অর্থোপেডিক সার্জন), ডঃ সন্দীপ কুমার ভট্টাচার্য (কনসালট্যান্ট নেফরোলজিস্ট)।
আরও পড়ুন: কলকাতায় দূষণের সম্পূর্ণ তথ্য অমিল, মাত্রা কতটা, বোঝার উপায় নেই
২৭ জানুয়ারি শ্বাসকষ্ট, হালকা জ্বর, ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালের (SSKM Hospital) উডবার্ন ওয়ার্ডের ১০৩ কেবিনে ভর্তি হন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। গ্রিন করিডর করে গীতশ্রীকে নিয়ে আসা হয় এসএসকেএম-এ। তাঁর চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালের বক্ষরোগ বিভাগের প্রধান চিকিৎসক সোমনাথ কুন্ডু। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরই তাঁকে দেখেছেন ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের প্রধান চিকিৎসক অসীম কুন্ডু এবং মেডিসিন-এর চিকিৎসক নিলাদ্রি সরকার (Sandhya Mukhopadhyay critically ill)। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দুটি ফুসফুসেই গভীর সংক্রমণ রয়েছে। রয়েছে সামান্য তাপমাত্রা ও আচ্ছন্নভাব। প্রাথমিকভাবে শিল্পীকে অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া হয়। নবতিপর শিল্পী বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থতায় ভুগছিলেন (Sandhya Mukhopadhyay critically ill)। হাসপাতালে ভর্তির পর তাঁকে সাপোর্টিভ ট্রিটমেন্ট দেওয়া হয়। জ্বর কমানোর ওষুধ এবং অক্সিজেন দেওয়া ছাড়াও বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়। করা হয় করোনার আরটিপিসিআর (RTPCR) টেস্ট, রিপোর্ট পজিটি আসে। এর পরই তাঁকে স্থানান্তর করা হয় অ্যাপোলো হসপিটালে।