শনিবার সন্ধ্যা ছ’টার পর থেকেই দেখা গেল সন্দেশখালি রাজবাড়ি বাজার দ্রুত ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। বাজারে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ‘‘তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে যাওয়াই ভাল। কারণ, শাহজাহানের লোকজন এখনও বাজারে চরের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা সব লক্ষ্য রাখছে।’’ স্থানীয় বাসিন্দা উত্তম মান্না বললেন, ‘‘আমার বাড়ির দিঘির পাড়। এখান থেকে অনেকটা দূর। সাইকেলে করে বাড়ি যাই। হয়ত দাঁড় করিয়ে মারধর করবে। নয় বা মোটর সাইকেল দিয়ে ধাক্কা মেরে দেবে। কিছু বলার ক্ষমতা নেই আমাদের।’’
advertisement
আতঙ্কে কেউই ‘দুষ্কৃতী’দের নাম প্রকাশ করতে চাইছে না। বাজারের এক স্টেশনার্স দোকানদার জানালেন, ‘‘জিয়াউদ্দিনদের প্রচণ্ড উৎপাত ছিল এখানে। দোকানে এলে যেটা পছন্দ হবে, সেটাই ওদেরকে দিতে হত। তার দাম যাই হোক। কোনওদিন টাকা দিত না। যদি টাকা চাইতাম, বলত পরে। তার থেকে বেশি চাইলে মারধর, দোকান ভাঙচুর এইসব চলত।’’
আরও অভিযোগ, শাহজাহানের শাগরেদদের হঠাৎ করে মনে হল, চিপসের প্যাকেট কিংবা বাদামের প্যাকেট প্রয়োজন। ওরা ওদের মন মতো করে দোকান থেকে নিয়ে চলে যেত। দোকানদারদের কথায়, ‘‘দুই এক প্যাকেট নয়, চেন শুদ্ধু যতগুলো প্যাকেট থাকে, সেরকম দুটো কিংবা তিনটে চেন নিয়ে চলে যেত। টাকার কথা বললেই কপালে জুটত মার।’’
আরও পড়ুন: আসছে কালবৈশাখী…আকাশ কালো করে নাগাড়ে গর্জন.. তুমুল ঝড়বৃষ্টি! ১৭ জেলায় জারি হলুদ সতর্কতা
তার ওপর জমি দখল, বাড়ি দখল, দোকান দখল তো ছিলই। এমনকি শাজাহানরা এসে, ভরা বাজারে মহিলাকে মারধর করতেও কোন দ্বিধাবোধ করেনি বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। পুলিশ সেক্ষেত্রে ছিল কার্যত নীরব দর্শক৷ শাহজাহান গ্রেফতার হতে কিছুটা স্বস্তি হয়েছে সাধারণ মানুষের। কিন্তু ওঁরা জেল থেকে আবার ফিরে এলে? অধিকাংশের মৃদু স্বরে দাবি, ‘‘যদি ফিরে আসে দেখবেন ,সত্যি সত্যি শোলে সিনেমা কেমন হয় এখানে! আর পুলিশ ওদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াবে।’’