এদিন সিউড়ির মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাংলায় জট পাকানোর চেষ্টা করছে। একটা ঘটনা ঘটানো হয়েছে। প্রথমে ইডি ঢুকেছে। তারপর বিজেপি ঢুকেছে। তারপর কিছু মিডিয়া ঢুকেছে। যার যা অভিযোগ আছে তার সব অভিযোগ নেওয়া হবে। আমি সুয়োমোটো কেস করতে বলেছি। কারও কিছু নেওয়া হয়ে থাকলে ফেরত দেওয়া হবে। আমি জেলা পরিষদ ও ব্লক সদস্যকে গ্রেফতার করেছি। আরাবুল আমাদের দলের ভাঙড়ে গ্রেফতার হয়েছে।’’
advertisement
এরপরেই তিনি বলেন, ‘‘আমি অফিসার পাঠাব। যার যা অভিযোগ আছে সেটা শুনবে। যদি কারও জমি বাড়ি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ সত্যি হয় তাহলে তাদের সবার সবকিছু ফিরিয়ে দেওয়া হবে। আমি আমার জেলা পরিষদের সদস্যকে গ্রেফতার করিয়েছি। আমি পুলিশকে বলেছি সব কিছু ভাল করে তদন্ত করে দেখতে।’’
এদিন বীরভূমে মাটিতে দাঁড়িয়ে ফের কেষ্টর পাশে দাঁড়ালেন নেত্রী৷ এদিন বক্তৃতার মঞ্চে অনুব্রত মণ্ডলের কথা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সিউড়ি, বীরভুমে চক্রান্ত করছে। কেষ্টকে কতদিন জেলে পুরে রেখে দিয়েছে। ওর নামে অভিযোগ থাকলে, আপনাদের নেতার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ আছে, কটা ব্যবস্থা নিয়েছেন।’’
এদিন মমতা মঞ্চে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আশপাশ থেকে অনুব্রত মণ্ডলের নামে শ্লোগান ওঠে৷ মঞ্চে উঠে মমতাকে সেই কথাও বলতে শোনা যায়৷ তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘‘আমি তো আসতে আসতে দেখলাম ইয়ংরাও অনুব্রতর নাম করছে। আমি শিখিয়ে দিইনি।’’
আরও পড়ুন: ‘কেষ্টকে কতদিন…,’ বীরভূমে দাঁড়িয়ে ফের মমতার মুখে অনুব্রতর নাম! তুললেন আরাবুল প্রসঙ্গও…
মমতার কথায়, ‘‘পিএমএলএ নামে কী একটা আইন করে রেখেছে। বিনা বিচারে এক একজনকে বছরের পর বছর আটকে রেখে যদি তুমি মনে করো ভোট করবে তাহলে তোমরা ভুল ভাবছ। ইমার্জেন্সির সময় ইন্দিরা গান্ধি ২০০০ জনকে জেলে পুরে রেখে ভোট করেছিলেন। কিন্তু তিনি নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন।’’
শুধু কেষ্টই নয়, এদিন মমতার মুখে উঠে আসে আরাবুল ইসলামের গ্রেফতারির প্রসঙ্গও৷ তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘‘আরাবুল আমাদের দলের নেতা। সেও তো গ্রেফতার হয়েছে।’’প্রসঙ্গত, গত ৯ ফেব্রুয়ারি আইএসএফ নেতা খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন আরাবুল ইসলামও৷ এদিন মমতার কথায় উঠে আসে সেই প্রসঙ্গও৷
সিউড়ির মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ, ‘‘প্রথমে ইডি-কে পাঠিয়েছে। তারপর বিজেপি ঢুকেছে। যার যা অভিযোগ আছে আমরা অভিযোগ জানতে অফিসার পাঠিয়েছি। ব্লক প্রেসিডেন্ট সহ গ্রেফতার হয়েছে। আমি কি পারি না গদ্দারদের গ্রেফতার করতে? আমি সময় দিচ্ছি। সুতো ছাড়ছি।’’