যে সব কর্মীরা রায়গঞ্জ, বালুরঘাট, মালদহ, মুর্শিদাবাদ থেকে আসবেন তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে। ইতিমধ্যেই একাধিক তাঁবু খাটানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। খাবার রান্না থেকে পরিবেশন সব হবে এই সব ক্যাম্প অফিস থেকেই। সেন্ট্রাল পার্কের এই সব পরিকাঠামো খতিয়ে দেখলেন অভিষেক৷ সঙ্গে ছিলেন বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, ছিলেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সুজিত বসু। ছিলেন সব্যসাচী দত্ত-সহ একাধিক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা।
advertisement
আরও পড়ুন: শহিদ দিবসে বড় পরিকল্পনা তৃণমূলের, ধর্মতলা ভরিয়ে দিতে অস্ত্র 'বাংলার মেয়ে'রা!
সূত্রের খবর আগামী মঙ্গলবার থেকেই কর্মীরা আসতে শুরু করে দেবেন এই সব ক্যাম্প অফিসে৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, '২১ শে জুলাই ঘিরে উদ্দীপনা প্রচুর৷ দু বছর বাদে এই সমাবেশ হচ্ছে৷ রাজ্যের প্রত্যন্ত প্রান্ত থেকে লোকেরা আসে এই সমাবেশে। সমাবেশ বাস্তবায়িত করতে তাঁদের ভূমিকা রয়েছে। সব পঞ্চায়েত, গ্রাম থেকে কর্মীরা আসে। ২০১৯ এর পর কোভিড পরিস্থিতির কারণে ২০-২১ আমরা করতে পারিনি এই সমাবেশ৷ তাই বাড়তি উৎসাহ রয়েছে আমাদের। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং জেলা থেকে সবাই আসে। তাঁদের থাকার ব্যবস্থা হবে এখানে৷ মালদা, মুর্শিদাবাদ থেকে যাঁরা আসবেন তাঁদের রাখা হবে গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে। এবার একটু আগে থেকেই লোকজন আসবেন।'
আরও পড়ুন: ফের বিদ্রোহের সুর, বিজেপি বিধায়কের অফিসে তালা ঝোলালেন দলের কর্মীরা!
এবার সমাবেশ কোভিড বিধি মেনেই করা হচ্ছে। মাস্ক, স্যানিটাইজার দেওয়া হবে৷ সিসিটিভি মনিটরিং চলবে। যাঁরা স্বেচ্ছাসেবক আছেন তাঁদের বলা হয়েছে বিশেষ খেয়াল রাখতে। ইতিমধ্যেই ধর্মতলায় মঞ্চ বাঁধার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছিল আগেই। এবার সমাবেশ থেকে জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে লড়াইয়ের বার্তা দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই ২১ শে জুলাইকে ঘিরে আয়োজনে কোনও খামতি রাখছে না তৃণমূল।