প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন,'বামেদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছি। বিজেপিরও কিছু লোক ভেবেছেন কংগ্রেস বেস্ট অপশন। কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া উচিত'। এই আবহেই বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর বার্তা, "জনগণ দেখিয়ে দিয়েছে সাগরদিঘিতে। আমার কথা হচ্ছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আমরা সবাই। আমরা বলব তৃণমূলকে হারাতে সবাই এক যোগে ভোট দিন"।
advertisement
আরও পড়ুন: ভুলে যান AC-কুলার! এই গরমে ঘর থাকবে জাস্ট Super Cool! এই রইল ১০ দুর্দান্ত উপায়...
রবিবার সৌমিত্র খাঁ। তারপর এবার শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মুখেও শোনা গেল জোটের বার্তা। একই সুর দিলীপ ঘোষের গলাতেও। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য,' যেখানে আমাদের ভোটার নেই সেই জায়গায় পঞ্চায়েতে আমরা প্রার্থী নাও দিতে পারি। নিচু তলার মানুষজন ঠিক করবে কাকে ভোট দেবেন'। তবে এটাই প্রথম নয়। সাগরদিঘির ভোটের আগেই বিজেপির নেতৃত্বে এক রাজনৈতিক সভায় মহাজোটে বামেদের যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন এ রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আর সাগরদিঘি তৃণমূলের হাতছাড়া হওয়ার পরেই সরাসরি এবার জোট-বার্তা জোড়াল হচ্ছে বিরোধীদের মুখে। এ ব্যাপারে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'পার্টি ডিসিশন নেবে। বিজেপির একার ক্ষমতা আছে তৃণমূলকে হারানোর'। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য,'মানুষ তৈরি আছে। বাম, কংগ্রেস আগে বলুক, নো ভোট টু মমতা। তারপর মানুষের ওপর ছেড়ে দিন যে কাকে তারা সমর্থন করবে'। বাম শিবিরও তৃণমূলকে উৎখাত করতে জোটবদ্ধ হওয়ার বার্তা দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: জলের মতো বেরিয়ে যাচ্ছে টাকা? কিছুতেই হাতে থাকছে না? চটপট জেনে নিন 'এই' সহজ সমাধান...
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে,'বিজেপি, কংগ্রেস কিম্বা বামেরা ভালই জানে যে জোট করে ভোট টানতে না পারলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কড়া চ্যালেঞ্জ ছোড়া কঠিন। তাই কি বিরোধীদের গলায় এমন অকটপট জোট বার্তা? যাতে পঞ্চায়েত কিম্বা চব্বিশের ভোটের আগে জোটের হাওয়ায় বিরোধী ঐক্যেও ফাটল ধরানো যায়? এদিকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে বারবারই বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে নিচু তলায় সংগঠনকে শক্তিশালী করার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু কার্যত নড়বড়ে সংগঠনের কারনেই কী ঘুরপথে 'মানুষের জোটের কথা বলে আসলে পঞ্চায়েতে ক্ষমতা দখলের স্বাদ পেতে চাইছে এ রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি'?
ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী