সাধারণ পরিবারের মেয়ে সায়নী। প্রথমে দু-একটি ছোট প্রোডাকশন হাউসে অভিনয় করে কিছুটা পরিচিতি পেয়েছিলেন। তার পর থেকে আরও কিছুটা উত্থান হয়েছিল সায়নীর। ২০২১ সালে নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে আসানসোল দক্ষিণ থেকে বিধানসভায় নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন। কিন্তু তিনি পরাজিত হন বিজেপি প্রার্থীর কাছে। সায়নীর কথা দলীয় মানুষদের কাছে বেশ আলোড়ন তুলেছিল। ২০২১ সালের পরই তিনি যুব তৃণমূল কংগ্রেসের দায়িত্ব নেন। সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেসের জেনারেল সেক্রেটারি ছিলেন কুন্তল ঘোষ।
advertisement
আরও পড়ুন: সব জল্পনার অবসান, ইডি-র অফিসে কি যাচ্ছেন সায়নী? স্পষ্ট হয়ে গেল শুক্র সকালেই!
সেই থেকেই দু’জনের বন্ধুত্ব। সূত্রের খবর , তার পরেই কুন্তল সায়নীকে গল্ফগ্রিনের ফ্ল্যাট কিনতে আর্থিক সাহায্য করেছিলেন। এছাড়া বালিগঞ্জে সায়নীর ফ্ল্যাট, অফিসের ভাড়া গুনতেন কুন্তল। কুন্তল ইডির হেফাজতে থাকাকালীন সায়নীর কীর্তি প্রকাশ্যে আসে। সেই কীর্তি একে একে প্রকাশ্যে আসার পরও সায়নীকে বিভিন্ন রাজনৈতিক মঞ্চে দেখা গিয়েছে। গত ২৭ জুন রাত সাড়ে এগারোটায় সায়নী ইডির চিঠি পান। তারপর থেকেই রীতিমতো লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান সায়নী।
আরও পড়ুন: বুধ রাত থেকে উথালপাতাল জীবন, ‘নিখোঁজ’ সায়নী ঘোষ! ইডি-র হাজিরা নিয়ে বড় সংশয়
এমনকী ২৮ জুন সায়নী ৩৩ পল্লীর দুর্গাপুজোর খুঁটি পুজোতে যাওয়ার অনুষ্ঠানও বাতিল করে দেন। একে একে জেলায় জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার করা বাতিল করে দিয়েছেন। তিনি কোথায় আছেন? দলীয় লোকেরা যোগাযোগ করে তাঁকে পাচ্ছেন না। কিন্তু গেলেন কোথায় তিনি?সকাল থেকে তাঁর বাড়ির দারোয়ানকে জিজ্ঞাসা করলে, কোনও ভাবে তিনিও কিছু বলতে পারছেন না। শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্সে সায়নী ইডির মুখোমুখি হবেন বলে জানা গিয়েছে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে। সায়নীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনের একটা দল তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে একজন মহিলা ইডি অফিসার রয়েছেন।
শঙ্কু সাঁতরা