এর পর মায়ের উদ্যোগেই হবু স্বামীর সঙ্গে দেখা হল আন্নার। প্রথম দেখাতেই প্রেম। তখন আর তিনি বিয়েতে নারাজ নন। তার পর প্রেমিকের হাত ধরেই তিনি চলে আসেন সম্পূর্ণ অচেনা শহর কলকাতায়। এখানে আসার এক সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণ বাঙালি রীতি নীতি মেনে তাঁদের বিয়ে হয়ে যায়। সেই বিয়েতে পালিত হয় মালাবদল থেকে শুভদৃষ্টি-সব রীতিনীতিই। তখনও একফোঁটা বাংলা না জানা আন্নার দোভাষী ছিলেন তাঁর স্বামী। শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সামনে হাতজোড় করে সৌজন্য নমস্কার করতেন আন্না। ওটাই ছিল তাঁর সংলাপের ভাষা।
advertisement
এর পর শাশুড়িই আন্নাকে বাংলা শেখান। বউমাও চেষ্টা করেছিলেন শাশুড়িকে রাশিয়ান শেখানোর। কিন্তু কিছু দূর এগিয়ে আর পারেননি। শক্ত উচ্চারণের জন্য হাল ছেড়ে দিয়েছেন তাঁর শাশুড়ি। এখন আন্না ভালই বাংলা বলেন। চেটেপুটে খান বাঙালি রান্না। রাঁধতেও পারেন রকমারি বাঙালি খাবার। রুটি বাদে অবলীলায় রাঁধেন ডাল তরকারি মাছ মাংস। খেতে পছন্দ করেন কুমড়ো ঝিঙে পোস্ত। ইলিশের স্বাদও খুব প্রিয়। কিন্তু কাঁটা বেছে খেতে খুব অসুবিধে হয়। চুটিয়ে আনন্দ করেন দুর্গাপুজোয়। শাড়ি পরে অষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি থেকে শুরু করে রাত জেগেঠাকুর দেখা, খাওয়া দাওয়া-সবই চলে।
আরও পড়ুন : মায়ের পরামর্শে নিজের ডিম্বাণু সংরক্ষণ করান প্রিয়ঙ্কা, দেখুন আর কোন বলিউড তারকা এই কাজ করেছেন
পুরোদস্তুর বাঙালি গিন্নি হলেও আন্না দেখে কিন্তু ভালবাসেন বলিউডের হিন্দি সিনেমা, সেই ছোটবেলা থেকেই। তাঁর প্রিয় নায়ক আমির খান। বর আর আমির খানের মধ্যে কে বেশি সুদর্শন? সঞ্চালক রচনার এই প্রশ্নে আন্না মিষ্টি হেসে নির্দ্বিধায় জানান, আমির খান নন, তাঁর বরই বেশি সুপুরুষ তাঁর কাছে। দিদি নাম্বার ওয়ানের ভাইরাল হওয়া এই পুরনো পর্ব দেখে উচ্ছ্বসিত নেটিজেনরা।
(ছবি-সোশ্যাল মিডিয়ায় দিদি নাম্বার ওয়ানের ভাইরাল ভিডিও )