TRENDING:

Love Story: রাঁধেন ও চেটেপুটে খান কুমড়ো ঝিঙে পোস্ত, কাঁটার জন্য অসুবিধে ইলিশে, রাশিয়ান তরুণী এখন পাকা বাঙালি গিন্নি

Last Updated:

Love Story: মায়ের উদ্যোগেই হবু স্বামীর সঙ্গে দেখা হল আন্নার। প্রথম দেখাতেই প্রেম

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কলকাতা : ভারতীয় সংস্কৃতি ও সিনেমার অনুরাগী তাঁরা বরাবর। সেই ভালবাসা এবং শ্রদ্ধা সম্মান থেকেই নিজের মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন বাঙালি যুবকের সঙ্গে। তাই ভিনদেশি যুবকের মধ্যে যোগ্য জীবনসঙ্গীকে খুঁজে পাওয়ার কৃতিত্ব রুশ তরুণী দিয়েছিলেন তাঁর মাকেই। জি বাংলার জনপ্রিয় শো দিদি নাম্বার ওয়ান-এর এক এপিসোডে এসে আন্না বলেছিলেন কীভাবে তাঁর মায়ের জন্যই সূত্রপাত হয়েছিল তাঁর প্রেমপর্বের। রাশিয়ার মেয়ে আন্না এখন আন্না সাহা, কলকাতার বাঙালি গিন্নি। তাঁর স্বামী রাশিয়ায় গিয়েছিলেন ডাক্তারি পড়তে। সেখানে বন্ধুর সূত্রে তিনি যান আন্নার বাড়িতে। বাঙালি যুবককে দেখে হবু জামাই হিসেবে মনে মনে ঠিক করে নেন আন্নার মা। কিন্তু মেয়েকে বলতেই তিনি বেঁকে বসেন। জানিয়ে দেন, তখন তিনি বিয়ে করবেন না। কিন্তু মা হাল ছাড়েননি। গোপনে যোগাযোগ করেন বাঙালি তরুণের সঙ্গে। ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাবশত তাঁকেই জামাই করবেন বলে ঠিক করেন আন্নার মা।
রাশিয়ার মেয়ে আন্না এখন আন্না সাহা, কলকাতার বাঙালি গিন্নি (ছবি-সোশ্যাল মিডিয়া)
রাশিয়ার মেয়ে আন্না এখন আন্না সাহা, কলকাতার বাঙালি গিন্নি (ছবি-সোশ্যাল মিডিয়া)
advertisement

এর পর মায়ের উদ্যোগেই হবু স্বামীর সঙ্গে দেখা হল আন্নার। প্রথম দেখাতেই প্রেম। তখন আর তিনি বিয়েতে নারাজ নন। তার পর প্রেমিকের হাত ধরেই তিনি চলে আসেন সম্পূর্ণ অচেনা শহর কলকাতায়। এখানে আসার এক সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণ বাঙালি রীতি নীতি মেনে তাঁদের বিয়ে হয়ে যায়। সেই বিয়েতে পালিত হয় মালাবদল থেকে শুভদৃষ্টি-সব রীতিনীতিই। তখনও একফোঁটা বাংলা না জানা আন্নার দোভাষী ছিলেন তাঁর স্বামী। শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সামনে হাতজোড় করে সৌজন্য নমস্কার করতেন আন্না। ওটাই ছিল তাঁর সংলাপের ভাষা।

advertisement

আরও পড়ুন :  প্রেম ও আলাপ ফেসবুকে, রাশিয়ার তরুণী এখন নদিয়ার বাঙালি গিন্নি, আটপৌরে শাড়ি পরে জমিয়ে ভাত খান পুঁইচচ্চড়ি ও আলুপোস্ত মেখে

advertisement

এর পর শাশুড়িই আন্নাকে বাংলা শেখান। বউমাও চেষ্টা করেছিলেন শাশুড়িকে রাশিয়ান শেখানোর। কিন্তু কিছু দূর এগিয়ে আর পারেননি। শক্ত উচ্চারণের জন্য হাল ছেড়ে দিয়েছেন তাঁর শাশুড়ি। এখন আন্না ভালই বাংলা বলেন। চেটেপুটে খান বাঙালি রান্না। রাঁধতেও পারেন রকমারি বাঙালি খাবার। রুটি বাদে অবলীলায় রাঁধেন ডাল তরকারি মাছ মাংস। খেতে পছন্দ করেন কুমড়ো ঝিঙে পোস্ত। ইলিশের স্বাদও খুব প্রিয়। কিন্তু কাঁটা বেছে খেতে খুব অসুবিধে হয়। চুটিয়ে আনন্দ করেন দুর্গাপুজোয়। শাড়ি পরে অষ্টমীর পুষ্পা‍ঞ্জলি থেকে শুরু করে রাত জেগেঠাকুর দেখা, খাওয়া দাওয়া-সবই চলে।

advertisement

আরও পড়ুন :  মায়ের পরামর্শে নিজের ডিম্বাণু সংরক্ষণ করান প্রিয়ঙ্কা, দেখুন আর কোন বলিউড তারকা এই কাজ করেছেন

পুরোদস্তুর বাঙালি গিন্নি হলেও আন্না দেখে কিন্তু ভালবাসেন বলিউডের হিন্দি সিনেমা, সেই ছোটবেলা থেকেই। তাঁর প্রিয় নায়ক আমির খান। বর আর আমির খানের মধ্যে কে বেশি সুদর্শন? সঞ্চালক রচনার এই প্রশ্নে আন্না মিষ্টি হেসে নির্দ্বিধায় জানান, আমির খান নন, তাঁর বরই বেশি সুপুরুষ তাঁর কাছে। দিদি নাম্বার ওয়ানের ভাইরাল হওয়া এই পুরনো পর্ব দেখে উচ্ছ্বসিত নেটিজেনরা।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
নদী নাকি শুকিয়ে যাওয়া জমি ধরতে পারবেন! ইছামতীর প্রাণ ফেরাতে দারুণ উদ্যোগ
আরও দেখুন

(ছবি-সোশ্যাল মিডিয়ায় দিদি নাম্বার ওয়ানের ভাইরাল ভিডিও )

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Love Story: রাঁধেন ও চেটেপুটে খান কুমড়ো ঝিঙে পোস্ত, কাঁটার জন্য অসুবিধে ইলিশে, রাশিয়ান তরুণী এখন পাকা বাঙালি গিন্নি
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল