ঠিক কী বলেছিলেন রুদ্রনীল? তিনি বলেন, ”রাজন্যা বোনকে বলি, খুব সাবধানে থাকো। নিজের ঘরের দরজাটা ভাল করে এঁটে বন্ধ করে রেখো। তোমার ঘর কত বড়, সেখানে ১, ২ কোটি, ৫০ কোটি ঢোকানো যাবে কি না, তা দেখে নিচ্ছে। সে সব টাকা তোমার ঘরে ঢোকানো হবে। তবেই দলে তোমার জায়গায় পাকা হবে। এই মুহূর্তে তোমার কী কী আছে আর কী কী নেই, সেসব দেখা হচ্ছে। তোমার আশপাশে দেবাংশুকে দেখে বুঝে নাও।”
advertisement
রাজন্যার অভিযোগ, নিজের বক্তব্য রাখার সময় রুদ্রনীল ঘোষ তাঁকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন। যুব তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ , বোন বলে সম্বোধন করে অশালীন মন্তব্য করেছেন রুদ্রনীল। সমস্ত শালীনতার সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছেন বিজেপি নেতা। এই অভিযোগ তুলে শনিবার নেতার বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন রাজন্যা।
আরও পড়ুন: ভারতের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা কোন রাজ্যে? বাংলার স্থানই বা কত? হিসেব চমকে দেবে
এফআইআর দায়ের করার পর রাজন্যা বলেন, ”রুদ্রনীল ঘোষ যে মন্তব্য করেছেন তা মারাত্মক। উনি সাক্ষাৎকারে বলছেন কত টাকায় রাজন্যাকে কেনা হবে। যা অত্যন্ত অবমাননাকর। আমার কথা যারা শুনছেন তাদের মা-বোনেদের নিয়ে যদি এই মন্তব্য করা হত! ভেবে দেখুন তো কতটা অসম্মানজনক। আমাদের নেহাত সহবত শিক্ষা আছে। নাহলে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি একবার নির্দেশ দিতেন, তাহলে ওঁর কী হাল হত, কল্পনাও করতে পারতেন না।”
আরও পড়ুন: শিয়ালদহ পাচ্ছে ২৭ কোটি, বর্ধমান ৬৪ কোটি! অমৃত স্টেশন প্রকল্পে পুরো বদলে যাবে বাংলার বহু স্টেশন
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে একঝাঁক যুবদের দাপট লক্ষ্য করা গিয়েছিল। দলের পোড়খাওয়া নেতাদের পাশাপাশি এবার একুশের ভরা মঞ্চ ছাড়া হয়েছিল তৃণমূলের ছাত্র-যুবদের জন্যও। ধর্মতলার উপচে পড়া ভিড়ে ঝাঁঝালো ভাষণে মঞ্চ মাতিয়েছিলেন রাজন্যা হালদারের মতো মুখও। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে নজর কাড়লেন তৃণমূলের তরুণরা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি করা ‘জয়ী’ ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য রাজন্যা হালদার। মাস কয়েক আগে ধর্মতলায় শহিদ মিনারের পাদদেশে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে ২ দিনের ধরনা চলাকালীন তৃণমূল ছাত্র-যুবদের গান শুনে এই ব্যান্ডটি তৈরি করে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। ৪,৫ জনের গানের দলকে নিজেই বেশ কিছু বাদ্যযন্ত্রও সরবরাহ করেন। সেই ব্যান্ডের সদস্যই প্রেসিডেন্সির ছাত্রী রাজন্যা।