কেশব ভবন সূত্রে খবর, সংঘের সাংগঠনিক ধাঁচ মেনে রাজ্য বিজেপির (BJP West Bengal) সংগঠনের দায়িত্ব বণ্টন করা হবে। সংঘের ধাঁচা অনুযায়ী, রাজ্যকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের মধ্যে মালদহ থেকে কোচবিহার জেলা। বর্ধমান, দুর্গাপুর থেেক শুরু করে পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার জঙ্গলমহল নিয়ে রয়েছে রাঢবঙ্গ।এবং দক্ষিণবঙ্গের সাগরদ্বীপ থেকে শুরু করে কলকাতা, দুই চব্বিশ পরগণা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি ও নদিয়াকে নিয়ে বাকি দক্ষিণবঙ্গ। এই তিন অংশের জন্য তিন জনকে সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: ইভিএম-এই পুরভোট, কিন্তু থাকছে না ভিভিপ্যাট! প্রস্ততি শুরু রাজ্য নির্বাচন কমিশনের
কেন্দ্রীয় ভাবে গোটা বিষয়টি দেখা ও এই তিন পদাধিকারীদের মধ্যে সমন্বয়ের কাজ করবেন অমিতাভ৷ যদিও, সংঘের একাংশের মতে, আসলে, অমিতাভ ও নতুন তিনজনকেই সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের পদ না দিয়ে এক জনকে রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও রাজ্য সভাপতির ক্যাবিনেটে রাখতে পারে সংঘ। ভবিষ্যতে রাজ্য সভাপতি হিসাবে যাঁকে সামনে আনতে পারে সংঘ।
আবার, একটি অংশের দাবি, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত অমিতাভ চক্রবর্তী এই পদে আসার আগে তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের দায়িত্বে থাকা সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সহকারী হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল অমিতাভ চক্রবর্তী ও কিশোর করকে। কিশোর বর্তমানে ত্রিপুরার সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে। ফলে, সংঘের আগের বিচারধারা মেনেই অমিতাভকে সাহায্য করার জন্য দুই সাধারণ সম্পাদক নিয়োগের সিদ্ধান্ত।
এর মধ্যে অমিতাভ চক্রবর্তীর ডানা ছাঁটা বা রাজ্য সভাপতির উত্তরসূরির খোঁজ করা অর্থহীন৷ কিন্তু, সংশয়বাদীদের সংশয় কাটে না। কারণ একটাই, সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে সরানোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছিল এভাবেই। সুব্রতকে স্বপদে বহাল রেখেই তাঁর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল অমিতাভ চক্রবর্তী ও কিশোর করকে। কার্যত, অমিতাভ ও কিশোরকে স্বাধীন দায়িত্ব দিয়ে সুব্রতর সহকারী নিয়োগের মধ্য দিয়েই সুব্রতকে নিষ্ক্রিয় করে বিদায়ের বার্তা দিয়ে দেন অমিত শাহ। এবারেও কি তাহলে সেই একই পথে হাঁটতে চলেছে আরএসএস?