সরকারি আইনজীবী বলেন, যে ধরনের ভাষা ব্যবহার হয়েছে, সেই ভাষাগুলি সংবিধানের কোথায় স্বীকৃতি দিয়েছে? যে ধরনের কথা মুখ্যমন্ত্রীর বিষয়ে ব্যবহার হয়েছে, তা মুখ্যমন্ত্রী শুধু কেন, অন্য কারও সম্পর্কেও এই ধরনের ভাষা বলা যায় না। সোশ্যাল মাধ্যম ব্যবহার করে মুখ্যমন্ত্রীর ডিগনিটি নষ্ট করছে। যদিও এদিন রোদ্দুরের আইনজীবীরা প্রবল হাততালি দেন। যদিও ১৪ জুন পর্যন্ত পুলিশ হেফাজত হল রোদ্দুরের।
advertisement
আরও পড়ুন: এক কথাতেই 'তেজ' বোঝালেন রোদ্দুর, কলকাতায় পা রেখেই বিস্ফোরক মন্তব্য! যা বললেন...
হেয়ারস্ট্রিট থানার সাইবার সেলের পুলিশ ইউটিউবারকে গোয়া থেকে গ্রেফতার করে। বুধবার রাতে কলকাতায় নেমেই সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁকে চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, 'কিপ ডিসট্যান্স। ডোন্ট টাচ মি।' সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তরও তিনি দেননি। মহিলাদের অসম্মান, অশান্তিতে উস্কানি, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু রয়েছে রোদ্দুরের বিরুদ্ধে। আজ আদালতে তোলা হবে রোদ্দুর রায়কে।
আরও পড়ুন: শুক্রবার উচ্চ মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ, নজরে রাখতেই হবে যে বিষয়গুলি...
ঘটনার সূত্রপাত নজরুল মঞ্চে কেকে-র শো ও তারপর গায়কের মৃত্যু নিয়ে। নজরুল মঞ্চে শোয়ের পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন কেকে এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্য়ু হয় তাঁর। নজরুল মঞ্চে সেদিন কেকে-র শো দেখতে মাত্রাতিরিক্ত মানুষ ভিড় করে। ৭০০০ মানুষের ভিড় এবং তার উপর এসিও বন্ধ ছিল দীর্ঘক্ষণ, এমনই অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন গাফিলতি নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এরপরই ফেসবুক লাইভে এসে এমন বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্য় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দিকে আঙুল তোলেন রোদ্দুর রায়। এখানেই শেষ নয়। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও ফিরহাদ হাকিমকেও কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি।