সিবিআই ১৫ই অগাস্ট বকলমে চালানো অনুব্রত মণ্ডলের দুটি রাইস মিলের সমস্ত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে জেলা খাদ্য আধিকারিকের কাছে। এখনও অবধি সেই চিঠির কোনও উত্তর যায়নি খাদ্য দফতর থেকে। সূত্রের খবর, উত্তর দিতে গেলেই ফেঁসে যেতে পারেন খাদ্য দফতরের আধিকারিকেরা। কারণ প্রচুর অনিয়ম হয়েছে ওই রাইস মিলগুলিতে।
advertisement
সূত্র বলছে,বীরভূম জেলায় ৫৪টি রাইস মিলের মধ্যে সব কটি খাদ্য দফতরের সঙ্গে ট্যাগ রয়েছে।বেশির ভাগ রাইস মিলে অনেক দিন ধরেই চুল্লি জ্বলতনা। নিয়ম অনুযায়ী,২৪ ঘণ্টা রাইস মিলের বয়লার জ্বলবে। ওই রাইস মিলে ধান চাল মজুত থাকার কথা। কিন্তু তা ছিল না। সেহেতু নিয়ম অনুযায়ী, মিলগুলি খাদ্য দফতরের কাছে 'ব্ল্যাক লিস্ট' হওয়ার কথা। সেগুলি এখনও একদিকে যেমন 'ব্ল্যাক লিস্ট' হয় নি, অন্যদিকে ওই রাইসমিলগুলি খাদ্য দফতরের কাছে প্রচুর ভুয়ো বিল জমা করেছে। সেই বিলেই খাদ্য দফতর থেকে টাকা পৌঁছে গিয়েছে রাইস মিলের একাউন্টে।
আরও পড়ুন: পড়ুয়াদের 'প্রকৃত শিক্ষা' দেওয়াই একমাত্র লক্ষ্য! জাতীয় শিক্ষক সম্মান বাঁকুড়ার শিক্ষককে
বরাবরই অভিযোগ ছিল খাদ্য দফতরে ঘুঘুর বাসা রয়েছে। ২০১১ সালের পর থেকে রাজ্যে খাদ্য বণ্টন ব্যবস্থা ঢেলে সাজায় সরকার। মানুষের দুয়ারে পৌঁছেছে রেশন। কিন্তু কত মানুষ রেশন নেয় না তার হিসাব শুনলে মাথায় হাত পড়বে নাগরিকদের। দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল যে খাম পৌঁছে দিয়েছেন বহু বাবুর কাছে তা নিয়ে খাদ্য দফতরের অলিন্দে ফিসফিস শোনা যায় বেশ। সিবিআই তদন্ত হলেই, খাদ্য দফতরের অনেক রাঘববোয়ালরা ধরা পড়বে বলে আশঙ্কা একাংশের।