প্রথমে অনুমতি না মিললেও, পরে বিভিন্ন শর্তে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে মেট্রো রেলের ১ নম্বর গেটের সামনে মঞ্চ বেঁধে বিজেপি-কে ধরনার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ সেই মতো, দেরিতে হলেও এই প্রথম সঙ্গবদ্ধ, সাংগঠনিক ভাবে আরজি কর কাণ্ডে বঙ্গ পথে নামতে দেখা গেল বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে৷ একই মঞ্চে দেখা গিয়েছে সুকান্ত-শুভেন্দু তো বটেই, এমনকি দিলীপকেও৷ পাশে ছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়, শঙ্কর ঘোষ সহ অন্যান্য সাংসদ-বিধায়কদের৷
advertisement
এর মধ্যে আগামিকাল, বৃহস্পতিবার রাজ্যের স্বাস্থ্যভবন অভিযানের ডাক দিয়েছে বিজেপি৷ সূত্রের খবর, এই কর্মসূচি সফল করতে নির্দেশ পৌঁছেছে তৃণমূল স্তর পর্যন্ত৷ সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের বৈঠকে পর্যবেক্ষকদের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, আগামিকাল, বৃহস্পতিবার বিজেপির যে স্বাস্থ্যভবন অভিযান রয়েছে, সেখানেও একসাথে পথে নামতে হবে রাজ্য বিজেপির প্রথমসারির নেতানেত্রীদের৷
কেন বিজেপির আন্দোলন ছন্নছাড়া? এই প্রশ্ন ওঠার পরেই আজ, বুধবার থেকে একসাথে পথে নেমেছেন সুকান্ত-শুভেন্দু-দিলীপরা। এই ঐক্যের ছবি সামনে আনতেই মরিয়া বঙ্গ বিজেপি৷
লোকসভা ভোটের ফলাফল সামনে আসতেই সৌমিত্র খাঁ থেকে একাধিক বিজেপি নেতা রাজ্য নেতৃত্বকে নিশানা করে এই ঐক্যের প্রশ্নেই সরব হয়েছিলেন। এবার অন্তত সেই ছবি মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠুক, রাজ্য নেতৃত্বের কাছে তেমনটাই চাইছে দিল্লি৷
আরও পড়ুন: সন্দীপ ঘোষের পরিবারকে-বাড়িতে এবার নিরাপত্তা! নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এদিন বলেন, ‘‘আমাদের আরজিকর ইস্যুতে প্রথম থেকেই আন্দোলন চলছে। আগামী দিনে আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়বে। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করব। কলকাতার পুলিশ কমিশনারের অপসারণ এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের আগে আমাদের আন্দোলন থামবে না।’’
প্রসঙ্গত, এর আগেও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে বারবারই এক হয়ে চলার বার্তা দেওয়া হয়েছে। দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় নির্দেশও। তারপরও বিজেপির ঘরোয়া কোন্দল লেগেই আছে বলে বিজেপির অন্দরে কান পাতলেই শোনা যায়।