বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের প্রশ্নের উত্তরে অবশ্য এদিন হাইকোর্টে একটি রিপোর্ট পেশ করে সিবিআই৷ সেই রিপোর্ট উল্লেখ করে সিবিআই দাবি করে, নির্যাতিতাকে গণধর্ষণ নয়, ধর্ষণই করা হয়েছিল৷ অর্থাৎ, সঞ্জয় রাই ছাড়া অন্য কেউ ব্যক্তির যৌন নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ আপাতত মেলেনি৷
সিবিআই রিপোর্টে জানিয়েছে, কেন এই খুন ধর্ষনের ঘটনা, বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে কারা জড়িয়ে। ধর্ষণ ও খুনের পরের ঘটনা গুলো নিয়ে তদন্ত করছে তারা। ইতিমধ্যেই তিনজনের কল রেকর্ডে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে৷ ফের নতুন করে ২৪ জনের বয়ান নেওয়া হয়েছে৷
advertisement
এদিন সিবিআইয়ের তরফে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের বিষয়টি কার্যত স্বীকার করে নিয়ে জানান হয় যে তারা, সমস্ত রকমের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে তার ফরেনসিক খতিয়ে দেখা হয়েছে। বিভিন্ন ল্যাবের রিপোর্ট নিয়ে সম্ভাব্য সবরকম দিক থেকে তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। দেশ বিদেশের সমস্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে ১৪ জনের বোর্ড তৈরি হয়েছে। তারা সবকিছু খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। সমস্ত ডাক্তার, নার্স, স্টাফ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বক্তব্য এবং স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছে। গোটা ঘটনার প্রেক্ষিতে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছে সিবিআই। জানতে চাইছে, কেন এমনটা হল?
তখনই বিচারপতি সিবিআইয়ের আইনজীবী রাজদীপ মজুমদারকে প্রশ্ন করেন, ‘‘তথ্য লোপাটের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে?’’ উত্তরে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, বৃহত্তর ষড়যন্ত্র এবং তথ্যলোপাট, দুটোরই তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। তখনই বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, ‘‘তাহলে গণধর্ষণের তদন্ত করলেন না কেন? ডিএনএ প্রোফাইল কার করা হয়েছে? শুধু অভিযুক্তের না অন্য কারোরও?’’
এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে সিবিআই আইনজীবী জানান, অভিযুক্ত ছাড়াও অনেকের পলিগ্রাফ রিপোর্টও রযেছে। ভরা আদালতে তাদের নাম বলায় সমস্যা আছে। কিন্তু, ডিএনএ প্রোফাইলিং একজনের হয়েছে না একাধিক জনের, আদালতের সেই প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর জানতে চান বিচারপতি৷ উত্তরে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, শুধুমাত্র পুরুষ ডিএনএ একজনেরই পাওয়া গিয়েছে৷
সবশেষে বিচারপতি বলেন, ‘‘আদালত নির্দিষ্ট করে উত্তর চায় ১ জনের ডিএনএ প্রোফইলিং হয়েছে। না একাধিক জনের? পরবর্তী শুনানির দিন এর উত্তর দিন৷’’ সিবিআই আদালতকে পরের শুনানির দিন এই প্রশ্নের উত্তর দেবে বলে জানিয়েছেন সিবিআইয়ের আইনজীবী রাজদীপ।