সিবিআই সূত্রে দাবি, তদন্তে উঠে এসেছে—টেন্ডার ও কোটেশন পাইয়ে দিতে এক বেসরকারি সংস্থার কর্তার কাছ থেকে আখতার আলি মোট ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন। সেই টাকা গিয়েছে কাশ্মিরী বেগম নামে এক মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। তদন্তে জানা যায়, তিনিই আখতার আলির স্ত্রী।
আরজি কর দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট দিল সিবিআই! অভিযুক্ত হিসেবে নাম খোদ অভিযোগকারী আখতারি আলির
advertisement
চার্জশিটে আরও উল্লেখ, ভাইয়ের চিকিৎসা ও ঋণ পরিশোধের নাম করেও টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে আখতারের বিরুদ্ধে। এক ব্যবসায়ীকে কোটেশন পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে আখতার নেন সপরিবারে ভ্রমণের ১ লক্ষ ৪৯ হাজার টাকার সুবিধা—এ অভিযোগও নথিভুক্ত হয়েছে চার্জশিটে।
তদন্তে সিবিআই দাবি করেছে, সন্দীপ ঘোষের আগমনের বহু আগেই টেন্ডার ও কোটেশন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আখতার। সন্দীপ দায়িত্ব নেওয়ার পর দু’জনে মিলে এই দুর্নীতি আরও বাড়ান। পরে কোনও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মতভেদ তৈরি হয়। সম্পর্কের টানাপোড়েন চরমে উঠতেই আখতার সন্দীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে শুরু করেন—সেই তথ্যও চার্জশিটে উল্লেখ করেছে সিবিআই।
সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ—আর জি কর হাসপাতালের ক্যান্টিনের বরাত পেতে এক মহিলার সই জাল করে টেন্ডার জমা দেওয়া হয়েছিল। তদন্তে উঠে এসেছে, আখতারের নির্দেশেই শশীকান্ত চন্দক এক মহিলার স্বাক্ষর নকল করে সেই টেন্ডার জমা দিয়েছিলেন।
