প্রসঙ্গত, আরজি করের আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের মধ্যে অন্যতম আশফাকুল্লা নাইয়ার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। জানা গিয়েছে, ভুয়ো ডিগ্রি ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁর ডিগ্রি বিষয়ক নানা নথি চেয়ে চিকিৎসক আশফাকুল্লা নাইয়াকে চিঠি দিল ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল। সাত দিনের মধ্যে তাঁকে দেখা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি তা না হয়, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের কথাও স্পষ্ট করে উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে ওই চিঠিতে।
advertisement
জুনিয়র ডাক্তার আশফাকুল্লা নাইয়ার অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকালে ৩০-৪০ জন পুলিশকর্মী আচমকাই তাঁর কাকদ্বীপের রামতনুনগরের বাড়িতে হানা দেয়। তল্লাশির নামে বাড়ি তছনছ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। আশফাকুল্লার আশঙ্কা, পুলিশি তল্লাশির নামে যদি কেউ তাঁর বাড়িতে গিয়ে কোনও জিনিস রেখে আসে, তখন কী হবে। তাঁর বাড়িতে বাবা নেই। তিনি গত হয়েছেন। রয়েছেন মা ও ছোট ভাই-বোনেরা। হঠাৎ করে তাঁদের ভয় দেখানো হল কেন, এই প্রশ্ন তুলেছেন আশফাকুল্লা। ঘটনায় ক্ষুব্ধ জুনিয়র ডাক্তাররা।
আশফাকুল্লা বলেন, ”ভয় দেখানোর জন্য প্রশাসন এ ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ হয়েছে বলে পুলিশ আমাকে জানায়নি। যদি আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ পুলিশের থাকে, তাহলে সরাসরি আমাকে এসে জানান। পুলিশ নিয়ে এসে আমাকে গুলি করুক আমি প্রস্তুত। আমার বাড়ির লোক ভীত সন্ত্রস্ত। একটা বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সেটা ভুলবশত আমি আগেই তার জবাব দিয়েছি, ভুল করে পোস্টার ছাপানো হয়েছিল। মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফ থেকে আমার কাছে কোন ইমেইল আসেনি। আসলে তার জবাব দেব।”
প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত রায় ঘোষণা হয়নি। আরজি করের নির্যাতিতার পরিবারের মামলা আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মুলতুবি রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানান, আপাতত মামলার শুনানি মুলতবি থাকবে। বৃহস্পতিবার নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী জানান, এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছে।
অন্যদিকে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুন মামলা অভিজিৎ মণ্ডল ও সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ৯০ দিনে চার্জশিট জমা না দিতে পারলেও তদন্ত শেষ হয়নি তদন্ত চলছে এই মর্মে লিখিত পিটিশন শনিবারই শিয়ালদহ আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের তরফে।
আরও পড়ুন: ‘একই স্যালাইনে তো অন্য জায়গায় কিছু হয়নি’! স্যালাইন নয়, ডাক্তারদেরই কাঠগড়ায় তুললেন মমতা
একই সঙ্গে দাখিল হওয়া পিটিশনে সিবিআই জানিয়েছে, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে মামলার মূল অভিযুক্তর বিরুদ্ধে বিচার পর্ব চলছে বলে জানানো হয়েছে! অন্যদিকে নির্যাতিতার পরিবারের তরফ থেকেও আসে লিখিত আবেদন! তদন্ত প্রক্রিয়ায় কিছু খামতি রয়েছে বলেও সেখানে বলা হয়!
