১৯৬৩ সালে ' তাপসী ' নাটক, ১৯৮৭ তে ' ফেরা ', ১৯৮৮ সালে ' নীলকন্ঠ ', এরপর একে একে ঘটক বিদায়, দর্পণে শরৎশশী, চন্দনপুরের চোর, টিকটিকি, প্রাণ তপস্যা, হোমাপাখির মতন নাটকে তাঁর অভিনয় অসংখ্য দর্শককে মুগ্ধ করেছিল। এরপর ২০২০ সালের ১৫ই নভেম্বর মৃত্যুর পর সেই শ্যামবাজার মুখোমুখি নাট্যগোষ্ঠী সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মরণে গ্রুপ থিয়েটারের ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন এবং মুখোমুখি নাট্যগোষ্ঠীর ২৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজন করছে এই বিশেষ নাট্য উৎসব।
advertisement
আরও পড়ুন- আজকেও ঝড়বৃষ্টির আশঙ্কা দক্ষিণবঙ্গে, প্রায় সব জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি
আরও পড়ুন- রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চমক রাজ্যের, নজরে বিশেষ সাঁওতালি নৃত্যানুষ্ঠান
মুখোমুখি নাট্যগোষ্ঠীর উদ্যোগে কলকাতায় হতে চলেছে ৮ দিনের নাট্য উৎসব। আটজন পরিচালকের আটটি নতুন নাটক আগামী ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আকাদেমি এবং রবীন্দ্রসদন মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার এই উপলক্ষ্যে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কন্যা মুখোমুখি নাট্যগোষ্ঠীর সভাপতি পৌলমী চট্টোপাধ্যায়, নাট্যকার দেবেশ চট্টোপাধ্যায়, সুমন ভট্টাচার্য, অর্পিতা ঘোষ, দেবশঙ্কর হালদার, শংকর চক্রবর্তী, ঋদ্ধি সেনরা জানান এই ধরনের নাট্যোৎসব সম্ভবত গোটা দেশের মধ্যেই প্রথম। এই নাট্য উৎসবে প্রাচ্য নিবেদিত মনিকর্ণিকায় মনিকা, মুখোমুখি নিবেদিত আজকের শাজাহান, জন্মান্তর, চার্বাক নিবেদিত নীরজা সুন্দরী, সংসৃতি নিবেদিত খোক্কস, চেতনা নিবেদিত মহাত্মা বনাম গান্ধী, নাট্যরঙ্গের নিবেদন মধ্যরাতের চুপ কথা এবং পঞ্চম বৈদিক নিবেদিত তুমি ঠিক যদি ভাবো তুমি ঠিক এই আটটি নাটক মঞ্চস্থ হবে।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কন্যা পৌলমী জানান, "বাবার শূন্যস্থান কোনওদিনই পূরণ হতে পারে না। বাবা নাট্য জগতের এক স্তম্ভ ছিলেন, নাটক তার শরীর ও মনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত ছিল। তবুও গ্রুপ থিয়েটারকে আরও মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে বাবার প্রতি এটুকুই শ্রদ্ধার্ঘ্য।" মুখোমুখি নাট্যগোষ্ঠীর সম্পাদক বিলু দত্ত জানান, " বাংলা তথা ভারতের নাট্য জগতের কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব শম্ভু মিত্রের তৈরি করা বহুরূপী নাট্যগোষ্ঠীর ' নবান্ন ' নাটক, যার নাট্যকার ছিলেন বিজন ভট্টাচার্য,১৯৪৮ সালে রঙমহল থিয়েটার হলে প্রদর্শিত হয়েছিল৷ ওই প্রদর্শনকেই গ্রুপ থিয়েটারের প্রথম প্রদর্শন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে গ্রুপ থিয়েটারের ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন করব আমরা৷ এখনও গ্রুপ থিয়েটারের জন্য অসংখ্য ছেলেমেয়ে বাংলার আনাচে কানাচে লড়াই চালাচ্ছে, আমরা চাই সেই লড়াইয়ের স্বীকৃতি।"
অভিজিৎ চন্দ