অন্যদিকে প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির কুচকাওয়াজে এ বার পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলোর থিম ও বাংলার দুর্গাপুজো। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিশেষজ্ঞ কমিটি রাজ্যের এই নয়া ভাবনার ট্যাবলোকে অনুমোদন করেছে।তবে এ বার অনুমোদন দেওয়ার আগে একটি শর্ত জুড়ে দিয়েছে। বিশেষজ্ঞ কমিটি মনে করলে কুচকাওয়াজের আগের দিন শেষ লগ্নে বাতিল করে দিতে পারে। তাই রাজ্য সরকার এ বার অনেক সতর্ক। যাতে তীরে এসে তরী না ডোবে। গত বছরই প্রজাতন্ত্র দিবসে নেতাজি সুভাষ চন্দ্রের ১২৫ বছর জন্মবার্ষিকীতে তৈরি পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলো বাতিল করে দিয়েছিল কেন্দ্র। এ নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কের ঝড় উঠেছিল।
advertisement
ট্যাবলোয় কী থাকবে? লক্ষ্মী,গণেশ, সরস্বতী, কার্তিককে নিয়ে এক চিত্রে মা দুর্গার অবস্থান। ট্যাবলোর সামনে একটি কলাগাছের দু’ধারে দুই মহিলা শঙ্খ বাজিয়ে মহাশক্তির আগমনীর বার্তা দিচ্ছেন। আর মাকে ঘিরে রয়েছেন মহিলারা। ঢাক,কাঁসর ঘন্টা বাজিয়ে বরণ করছে। জগত সৃষ্টির মূলে রয়েছে ‘মা’ অর্থাৎ নারী শক্তি। সেই নারীর ক্ষমতায়নের কথাই বলা হয়েছে। যার প্রতিফলন আমরা পাই মা দুর্গার মধ্যে। তাই দুর্গাপুজো শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়। জাতি, বর্ণ, ধর্ম নির্বিশেষে সমস্ত মানুষের উৎসবের রূপান্তরিত হয়েছে। এটাই বিশ্বের সামনে তুলে ধরা।
আরও পড়ুন : ফের ভূমিকম্প দিল্লিতে, জোরাল কম্পনে কেঁপে উঠল রাজধানী
প্রসঙ্গত, ইউনেস্কো ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কলকাতার দুর্গা পুজোকে হেরিটেজ মর্যাদা দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতিকে স্মরণ করতে গত বারই দুর্গাপুজোকে ঘিরে এক মাস ধরে রাজ্য জুড়ে উৎসবের আয়োজন করেছিলেন। কার্নিভালের মধ্যে দিয়ে যার সমাপ্তি হয়।
আরও পড়ুন : মহিলাদের মাসে ১০০০ টাকা! মেঘালয়ে আজ ইস্তাহার প্রকাশ তৃণমূলের
সূত্রের খবর, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি জগতের বিশিষ্ট জনদের নিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করা হয়। তাঁরাই বিভিন্ন সময় ট্যাবলোর রূপরেখা দেখে বিচার বিশ্লেষণ করে নির্বাচিত করেন। এ জন্য অনেক সময়ই ট্যাবলোর রূপরেখার কিছুটা পরিবর্ধন করার সুপারিশও করা হয় বিশেষজ্ঞ কমিটি থেকে। যেমন এ বার পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলোর ক্ষেত্রে হয়েছিল। প্রথমে এই ট্যাবলোর সামনে মঙ্গলঘট বসানো হয়েছিল। বিশেষজ্ঞ কমিটির তরফে মঙ্গলঘটের বদলে কলাগাছ ও দুই মহিলা শাঁখ বাজাচ্ছেন এমন দৃশ্য রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়। রাজ্য সরকার তা মেনে নিয়ে নতুন করে রূপরেখা পেশ করার পরই বিশেষজ্ঞ কমিটি অনুমোদন দিয়েছে।