রেড রোডে এদিন মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল। দু’জনের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। পাশাপাশি রাজভবনে বিকেলের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের আমন্ত্রণ জানান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এদিন রাজভবনে বিকেলে হাতেখড়ি অনুষ্ঠান রয়েছে। যেখানে বাংলা ভাষায় হাতেখড়ি করবেন রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এদিনের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের শুরুতেই সেনাবাহিনীর তরফে বিশেষ প্রদর্শন করা হয়। পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের তরফেও বিশেষ প্রদর্শন করা হয় রেড রোডে। মহিলা পুলিশের বিশেষ প্রশিক্ষিত বাহিনী উইনার্সের পক্ষ থেকে এদিনের রেড রোডে বিশেষ প্রদর্শন করা হয়।
advertisement
তবে এদিনের রেড রোডে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল দুর্গাপুজো নিয়ে বিশেষ ট্যাবলো। দিল্লিতেও প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে মা দুর্গা ও নারী শক্তির ক্ষমতায়ন শীর্ষক বাংলার ট্যাবলো এদিন প্রদর্শিত হয়েছে। একই ধাঁচে রেড রোডেও প্রদর্শিত করা হয় রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের তরফে। বাংলার দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর হেরিটেজ স্বীকৃতি পাওয়ার পরপরই বিশেষভাবে এই ট্যাবলো প্রদর্শিত করা হয় রেড রোড ও দিল্লিতে। পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়ারাও এদিন রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পরিবেশন করেন। মডার্ন হাই স্কুল, ডায়মন্ডহারবার হাই স্কুল, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজিয়েট স্কুলের পাশাপাশি বর্ধমানের বর্ধমান মডেল মাদ্রাসার পড়ুয়াদের তরফেও বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পরিবেশন করা হয়।
আরও পড়ুন-স্বপ্নের গোয়ায় কোথা থেকে এল লাশ! ‘অলক্ষ্মীজ ইন গোয়া’র ডার্ক কমেডিতে মন মজেছে দর্শকের
এরই সঙ্গে বিভিন্ন সংস্কৃতিক ঐতিহ্যকেও তুলে ধরা হয় এদিনের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে। ছৌ নাচ, বাউল গান, জঙ্গলমহলের শিল্পীদের নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয় এদিনের রেড রোডের অনুষ্ঠানে। তবে গত দু’বছরের তুলনায় এবারের রেড রোডের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সাধারণ দর্শকদের বসার জায়গার ব্যবস্থা তুলনামূলকভাবে বেশি করা হয়েছিল। সবমিলিয়ে প্রজাতন্ত্র দিবসের এক জমজমাট অনুষ্ঠান দেখলেন শহরবাসী ৷