ভাবনাটা প্রথম আসে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনে। ২০১৩-১৪ সালে তিনি প্রস্তাব দেন মায়ের বাড়ির এলাকাকে ঢেলে সাজাতে হবে। বিশ্বমানের এলাকা তৈরি করতে হবে। শুরু হয় কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে মায়ের বাড়ি পরিকল্পনা। তিনশো পরিবারকে টালির বাড়ি থেকে সরিয়ে ফ্ল্যাটে পুনর্বাসনের পরিকল্পনা। এলাকার সৌন্দর্যায়নে বসবে আলো। তৈরি হবে তোরণ।
বাগবাজারে ‘মায়ের বাড়ি’ গৃহ নির্মাণ প্রকল্পে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের প্রস্তুতি। প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে পৌঁছন কলকাতা পুরসভা ও রামকৃষ্ণ মঠ কমিশনের সন্ন্যাসীরা। কথা বললেন বেনিফিশিয়ারি বস্তিবাসীদের সঙ্গে।
advertisement
ফ্ল্যাট বাড়িতে যাওয়ার আগে পুরসভার পক্ষ থেকে বিকল্প জায়গায় বাসস্থান দেওয়া হচ্ছে বস্তিবাসীদের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী সাত বছর আগে নেওয়া হয়েছিল কলকাতা পুরসভার উদ্যোগ। মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছা অনুযায়ী মায়ের বাড়িতে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রাথমিক কাজ। প্রথম পর্যায়ের নির্মাণ শেষে থমকে যায় পরিকল্পনা। শেষ পর্যন্ত করোনার পর্ব কাটিয়ে আবার দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু। সেই কাজ শুরুর আগে সরে জমি নিয়ে খতিয়ে দেখতে কলকাতা পুরসভার মেয়র পরিষদ মায়ের বাড়িতে।
আরও পড়ুন : বন্ধ হয়ে যায় বড় ব্যবসা, রাজমা-চাউলের উপর ভরসা করেই আর্থিক ভরাডুবি থেকে রক্ষা দম্পতির
কলকাতা পুরসভা ও রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী। মোট ৩০০টি পরিবারকে টালির বাড়ি থেকে সরিয়ে ফ্ল্যাটে পুনর্বাসন দেওয়া হবে।প্রথম ধাপে চারটি ব্লক তৈরি করে ৮০টি পরিবারকে ফ্ল্যাট দেওয়া হয়।তার পর আগামী দুই বছরের মধ্যে ২২০টি ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন : প্রকৃতির কী খেলা! তীব্র তুষারঝড়ে বরফে ঢাকল শুষ্ক মরুভূমি
২০১৬ সালে পরিকল্পনা শুরুর পর ২০১৮-১৯ সালে ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ১১টি ব্লকের ২২০টি ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য মোট ১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কলকাতা পুরসভা। প্রতি ফ্ল্যাটে একটি ঘর ও ডাইনিং স্পেস, রান্নার জায়গা ও বাথরুম থাকবে। আগামী এক বছরের মধ্যে ১০০ পরিবারকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে দেওয়া হবে নতুন ফ্ল্যাট। মোট পাঁচটি ব্লকে এই ১০০ পরিবারকে পুনর্বাসন দেওয়া হবে।
বাগবাজারের সারদা মায়ের বাড়ি দেখতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রাপ্ত থেকে শিষ্যরা আসেন। কিন্তু গঙ্গাপাড় লাগোয়া ওই বাড়ির চারপাশে ঘিঞ্জি বসতি। রাজ্য সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় ও কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে এবার বদলে যাবে বাগবাজারে মায়ের বাড়ির সংলগ্ন এলাকা।