সূত্রের খবর, সোমবার সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে শোক প্রস্তাব পাঠের পরে আলোচনা হবে৷ রাজ্যের সদ্য প্রয়াত পঞ্চায়েত মন্ত্রীকে নিয়েই হবে আলোচনা৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আজ যোগ দিতে পারেন এই আলোচনায়৷ অধিবেশনে যোগ না দিলেও, কলকাতার কাছে থাকা বিজেপি বিধায়কদের শোক প্রস্তাবে অংশ নিতে বলা হয়েছে৷ এ বছরই বিধানসভা ভোটে লড়াইয়ের ৫০ তম বছর ছিল সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের৷
advertisement
আরও পড়ুন: অনুব্রত মণ্ডলের নিশানায় এবার রূপা গঙ্গোপাধ্যায়! BJP নেত্রীর উপর বেজায় ক্ষুব্ধ 'কেষ্ট দা'
বালিগঞ্জ থেকে জিতে দশম বারের জন্যে বিধানসভার সদস্যও হয়েছিলেন তিনি। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বিধানসভার ঘর ফাঁকা পড়ে রয়েছে। অধিবেশন চললে মন্ত্রীদের ঘরে যে পরিচর্যা করা হয় এবারও তাই করা হয়েছিল। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের দিকে যেতে হলে বাঁ--দিকের ঘরে বসতেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরে যারা সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে বিধানসভায় দেখেছেন তারা বলছেন, ঘরটাই পড়ে আছে কত স্মৃতি নিয়ে, লোকটাই খালি নেই৷ ফলে বিধানসভার অলিন্দ জুড়ে তাই এখন সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে নিয়েই নানা বার্তালাপ ঘুরে বেড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন: তাহলে কি দল ছাড়ছেন? দিলীপ ঘোষকে পাল্টা প্রত্যাঘাত তথাগত রায়ের! লিখলেন, 'যতক্ষণ না...'
সুব্রত মুখোপাধ্যায় নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "সুব্রতদা ছিলেন পুজো পাগল। রাজনীতির পাশাপাশি পুজো নিয়ে এত আবেগ আমি খুব কম লোকের মধ্যেই দেখেছি। সেই মানুষটা এমন আচমকা কালীপুজোর রাতে আমাদের ছেড়ে চলে যাবে ভাবতে পারিনি। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে বসেই খবর পাচ্ছিলাম অবস্থার অবনতির। অবশেষে আমাদের আশঙ্কাই সত্যি হল। দীপাবলির আলো ঝলমলে রাতে সব আলো নিভিয়ে সুব্রত দা আমাদের ছেড়ে চলে গেল। বিধানসভায় আমাদের ঘর পাশাপাশি। আমার ঘরে যেতে হলে, আমাকে সুব্রত দার ঘর পেরিয়ে যেতে হয়৷ তোমাকে আমরা মিস করব সুব্রত দা।"
আরও পড়ুন: 'বিরোধী দলনেতার পদ চলে যাচ্ছে', শুভেন্দুর 'দলবদল' সম্ভাবনা? বিস্ফোরক দাবি সৌমেনের!
বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের চলে যাওয়াটা পরিষদীয় গণতন্ত্রের পক্ষে অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁর থেকে অনেক কিছু শিখেছি।" শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "রাজনীতিতে আমাকে তুই বলার কেউই রইল না৷ সুব্রত আর আমি কত বছরের বন্ধু, তা হিসেব কষতে বসলে সব অঙ্ক নিজেরই গোলমাল হয়ে যাবে৷ সুব্রত যখন নেতা নয়, মন্ত্রী নয় আমি রাজনীতিতে নবীন, তখন থেকে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক। আমি ওঁর থেকে সামান্য বড়। বন্ধু বিচ্ছেদ করে ও আগে চলে গেল।" এরকমই হাজারো স্মৃতি নিয়েই আজ বিধানসভায় সুব্রত মুখোপাধ্যায় স্মরণসভা হতে চলেছে।
