এর অবশ্য একাধিক কারণ তুলে ধরছেন দুর্বারের সদস্যরা৷ প্রথমত, যৌনকর্মীদের সন্তানরাও আর এই পেশায় আসতে চাইছে না। পল্লিগুলি অনেক পুরনো হওয়ার ফলে,বাড়িগুলি ভেঙে পড়ছে।বাড়িওয়ালারা নতুন করে আর বাড়ি ভাড়া দিচ্ছেন না। পাশাপাশি অসংগঠিত ভাবেও যৌন কর্মীদের সংখ্যা বাড়ছে।
আরও পড়ুন: বাড়িতেই চলছিল রমরমা গাঁজা চাষ! বাড়িতে ঢুকল পুলিশ, তারপর যা ঘটল অবিশ্বাস্য
advertisement
গোটা রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৫৬টি ছোট বড় যৌন পল্লি রয়েছে। যার মধ্যে কলকাতার সোনাগাছি সব থেকে বড়।তার পরেই স্থান নিয়েছে, পশ্চিম বর্ধমানের কুলটির নিয়ামতপুরের দিশা নামে যৌন পল্লি। তার পরেই স্থান রয়েছে বসিরহাটের মাটিয়ার।এ ছাড়া আর যে কয়েকটা রয়েছে,সেগুলি আস্তে আস্তে অনেক ছোট হয়ে এসেছে।
আরও পড়ুন: ব্যাগের মধ্যে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার...! দেখেই চক্ষু চড়কগাছ! আঁতকে উঠলেন কাস্টমস অফিসাররা
যেমন আন্দুলের শীতলা মন্দিরের কাছে যৌন পল্লিতে মাত্র ৬ জন যৌনকর্মী রয়েছেন।ঘাটালের যৌনপল্লিতে রয়েছেন ১৫ জন। এই সমস্ত যৌনকর্মীদেরই বয়স বাড়ছে৷ দিন দিন কমছে খদ্দেরের সংখ্যাও৷ তার উপর যৌন পল্লিগুলিতে সব সময় পুলিশ,দালাল ও দাদাদের অত্যাচার চলে। পল্লি থেকে কোনও খদ্দের বেরোলেই পুলিশ তাঁদের নানা ভাবে হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। যার ফলে ইদানিং কালে ভাল খদ্দের আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে পল্লিগুলিতে। যার ফলে সমস্যা দেখা দিচ্ছে যৌনকর্মীদের।উপরন্তু অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে গোপনে ছবি তুলে ছড়িয়ে দিয়ে মেয়েদের সামাজিক সুরক্ষা নষ্ট করছে বেশ কিছু খদ্দের, এমনও অভিযোগ উঠছে।
অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়া, নানা ধরনের ডেটিং অ্যাপের ব্যবহারে খরিদ্দারের সঙ্গে সহজ উপায়ে যোগাযোগ বেড়েছে। অনেকে এখন বাড়ি, ফ্ল্যাটে এই পেশা চালাচ্ছে বলে দাবি যৌনকর্মীদের৷ তাঁদের ক্ষেত্রে কোনও বিপদ বা সমস্যা থাকছে না।যার ফলে যেরকম যৌন পল্লীতে খরিদ্দার আসা কমেছে, পল্লি বন্ধ হচ্ছে। সবার উপরে রয়েছে প্রোমোটারের গ্রাস।তাদের গ্রাসে জমি যাওয়ার ফলে,বাসস্থান হারাচ্ছে মেয়েরা। ফলে নিষিদ্ধ পল্লি দু' একটা ছাড়া আর থাকবে না।