প্রবীর কয়ালের বাড়ি প্রায় ৪ ঘন্টা ধরে তল্লাশি চলে। এমনকি শ্যামল কয়াল ও সুনীল মণ্ডল দুজনের বাড়ি থেকে বেশি কিছু তথ্যপ্রমাণ বাজেয়াপ্ত হয় বলে সিবিআই সূত্রে খবর। তেহট্ট বিধায়ক তাপস সাহার বাড়িতে যখন তল্লাশি চলছে, তখন সন্ধ্যে ছয়টা থেকে শিবপুরে ও শ্যামপুরে তাপস ঘনিষ্ঠ তিনটি জায়গায় সিবিআই একযোগে তল্লাশি অভিযান করে।
advertisement
সিবিআই সূত্রে খবর, তেহট্ট বিধায়ক তাপস সাহার আপ্তসহায়ক প্রবীর কয়ালের শ্যামপুরে কাঠানলি এলাকায় পৈতৃক বাড়িতে চলে সিবিআই তল্লাশি। সিবিআইয়ের বিশাল টিম ও কেন্দ্রীয় বাহিনি নিয়ে চলে তল্লাশি। সেখান থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বতে প্রবীরের খুড়তুতো ভাই শ্যামল কয়ালের বাড়িতেও যায় সিবিআই। সেখানেও চলে তল্লাশি। পাশাপাশি তাপসের আপ্তসহায়কের ঘনিষ্ঠ সুনীল মন্ডলের বাড়িতে চলে সিবিআই অভিযান। সিবিআই তিনটি টিম ও সিআরপিএফ-র ৩ টি টিম যায়।
রাজ্য পুলিশের দুনীর্তি দমন শাখার হাতে আগেই গ্রেপ্তার হয় প্রবীর কয়াল, শ্যামল কয়াল ও প্রবীর ঘনিষ্ঠ সুনীল মন্ডল। গত বছর ১৯ জুলাই তাপস সাহার আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়ালকে তলব করেছিল রাজ্য পুলিশের এসিবি (দুনীর্তিদমন শাখা)। অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। এবার কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই অভিযান চালায় প্রবীর, সুনীল ও শ্যামলের বাড়িতে।
প্রবীর কয়াল বিস্ফোরক অভিযোগ করেন, " তাপস ৩০-৪০ লাখ টাকা দিয়েছিল বাড়ি তৈরির জন্য। তাপস টাকা তুলতে বলেছিলেন। আমাকে ব্যবহার করেছে তাপস সাহা। তাপস প্রভাবশালী। এর আগে আমাকে, সুনীলকে ও শ্যামলকে রাজ্য পুলিশ এসিবি গ্রেফতার করেছিল। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমি জানতাম না কি জন্য টাকা তোলা হচ্ছে।"
অন্যদিকে সুনীল মন্ডল জানান, "প্রবীর কয়ালকে চিনি। প্রবীরের বাবার শ্রাদ্ধতে তাপস সাহাকে এসেছিলেন। তখন দেখি। আমাকে এর আগে রাজ্য পুলিশের এসিবি গ্রেফতার করেছিল। তাপস সাহা সঙ্গে আমার যোগ নেই, চিনি না। একবার দেখেছিলাম প্রবীরদের বাড়িতে।"
আরও পড়ুন, গিরিরাজের চিঠির বয়ান নিয়ে চর্চা শুরু রাজনৈতিক মহলে
আরও পড়ুন, পুরী নয়, হাওড়া থেকে পরের বন্দে ভারত ছুটতে পারে এই শহরে! কত ঘণ্টা সময় লাগবে?
শুক্রবার সিবিআই প্রবীরের বাড়িতে সিবিআই ব্যাঙ্কের নথি দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। প্রায় চার ঘন্টা তল্লাশি চালানোর পর সিবিআই বেরিয়ে যায়।
অর্পিতা হাজরা