পশ্চিমবঙ্গে নতুন সাতটি জেলার মূল লক্ষ্য, রাজ্য সরকারের আয় বাড়ানো। তাই জেলার সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন। রাজ্যে আরও নতুন সাতটি জেলার ঘোষণায় রাজ্যে জেলার সংখ্যা তেইশ থেকে বেড়ে হল তিরিশ। সরকারি সূত্রে দাবি, জেলা ভাগের পিছনে অন্যতম কারণ আয় বাড়ানো। নতুন জেলা তৈরি হলে সেই জেলার জন্য কেন্দ্রের থেকে আলাদা টাকা মিলবে। পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পে মিলবে টাকা।
advertisement
আরও পড়ুন: কবে থেকে পার্থর সঙ্গে যোগাযোগ? কীভাবে ঘনিষ্ঠতা? ইডির কাছে 'সব' বললেন অর্পিতা!
এছাড়া রাজ্য সরকার মনে করে, জেলা ভাগে প্রশাসনের কাজে গতি আসবে। সাধারণ মানুষের কাছে আরও দ্রুত সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুফল তুলে দেওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী দুই রাজ্য বিহার এবং ওড়িশা। এই দুই রাজ্যেই লোকসভা আসন পশ্চিমবঙ্গের থেকে কম। কিন্তু, জেলার সংখ্যা বেশি। পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা আসন ৪২। জেলার সংখ্যা বেড়ে এবার হচ্ছে তিরিশ। ওড়িশায় লোকসভা আসন ২১। পশ্চিমবঙ্গের অর্ধেক। কিন্তু, জেলার সংখ্যা তিরিশ। বিহারে লোকসভা আসন চল্লিশ। পশ্চিমবঙ্গের থেকে কম। কিন্তু, জেলার সংখ্যা অনেকটাই বেশি। সেখানে রয়েছে ৩৮টি জেলা।
আরও পড়ুন: পার্থ-পর্বে বিরাট রদবদল, সংগঠনে আমূল পরিবর্তন তৃণমূলের! বাদ বড় বড় নাম
তবে, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রীর নতুন জেলা ঘোষণা প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ''আইএএস -আইপিএসদের বাংলায় ধরে রাখার জন্যই মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ। তবে কোনও লাভ হবে না। আগে রাজ্যের নাম পরিবর্তন সহ অনেক কিছু ঘোষণা করেছেন। একটিও বাস্তবায়িত হয়নি। IAS-IPS দের বাংলায় ধরে রাখার ব্যাপারেও মমতা বন্দোপাধ্যায়ের লক্ষ্যপূরণ হবে না।''