সংগঠনের তরফে যে সমস্ত ইস্যুতে এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল তা অধিকাংশই কেন্দ্রের নীতির বিরুদ্ধে৷ রাজ্য সরকারের তরফে আগেই সংগঠনকে বলা হয়েছিল, সঙ্গে রাজ্যের সম্পর্কযুক্ত কোনও ব্যাপার নেই৷ তাই যেন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় এই রেশন ধর্মঘট। অবশেষে সেই রেশন ধর্মঘট প্রত্যাহার হল রাজ্য থেকে৷ কেন্দ্রের কাছে রাজ্য ডিলারদের অসুবিধার কথা জানিয়ে চিঠি দিতে চলেছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ পরিস্থিতি জটিল! আজ থেকে বন্ধ যানবাহন চলাচল, আর কী নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের? জানুন
যে সকল ইস্যুতে রেশন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছিল তার মধ্যে রয়েছে…
১. নেটওয়ার্ক জনিত সমস্যা, সার্ভার জনিত সমস্যা অথবা আঙুলের ছাপের অমিলের কারণে রেশন উপভোক্তাদের সমস্যা হচ্ছে।
২. খাদ্যশস্যের কুইন্টাল পিছু ১ কিলো করে হ্যান্ডেলিং লস দিতে হবে।
৩. কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতির জন্য রেশন দোকানদারদের নূন্যতম ৫০ হাজার টাকা আয় নিশ্চিত করতে হবে।
৪. চটের বস্তায় FCI থেকে খাদ্যশস্য দিতে হবে।
৫. দার্জিলিং জেলার মতো বর্তমানে বাদ পড়া অন্যান্য জেলায় বর্ধিত কমিশন দিতে হবে।
৬. NFSA অনুযায়ী অগ্রিম কমিশন দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের সঙ্গে দীর্ঘ সময় বৈঠক করেন ধর্মঘটি রেশন ডিলারদের প্রতিনিধিরা৷ সংগঠনের তরফে অল ইন্ডিয়া সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, ‘আমরা আমাদের দাবি তুলে ধরে দেশজুড়ে রেশন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলাম। বিভিন্ন রাজ্যে তা পালিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরা আমাদের বারবার আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছে৷ কেন্দ্রের আচরণের আমরা নিন্দা জানিয়েছি। রাজ্যের তরফে আমাদের অনুরোধ করা হয়, ধর্মঘট প্রত্যাহার করতে। তারা আমাদের দাবি কেন্দ্রের কাছে পাঠাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।’
ABIR GHOSHAL