শুধুমাত্র দুর্নীতির টাকা কালো থেকে সাদা করতে কোম্পানি খোলা হয়েছিল, এমন নয়। দুর্নীতির টাকা লগ্নি হয়েছিল সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রেও। ইডির চার্জশিট এমন ১০১টি সম্পত্তির উল্লেখ করে কোথায় কত সম্পত্তি কেনা হয়েছে সেই বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। রেশন বণ্টন দুর্নীতির টাকা ব্যবহার করেই বাকিবুর রহমান নিজের নামে ছাড়াও স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের নামে সম্পত্তিতে লগ্নি করেছিলেন।
advertisement
আরও পড়ুন: বর্ধমান স্টেশনে জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে রক্তারক্তি, মৃত্যুও! ঠিক কী ঘটেছে জানুন…
প্রায় ৬০টির কাছাকাছি সম্পত্তি দেগঙ্গা এলাকাতেই। এছাড়া উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত, বাদুরিয়া ও নদিয়াতে সম্পত্তি রয়েছে বাকিবুরের। এই সম্পত্তি ইতিমধ্যে অ্যাটাচমেন্টের কাজ শুরু করেছে ইডি।
আরও পড়ুন: ‘রবীন্দ্রনাথকেও আপনারা অভিযুক্ত করে দিতেন’, বিদ্যুৎ-মামলায় রাজ্যকে তুলোধনা কোর্টের
রেশন দুর্নীতির টাকা তছরুপ করতে ব্যবহার করেছেন স্ত্রী-পুত্রের ব্যাঙ্ক আকাউন্ট, বাকিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আগেই এনেছিল ইডি। গম বণ্টন দুর্নীতি হোক বা ধান কেনা থেকে সরকারি চাল বণ্টন কেলেঙ্কারিতে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গেছে।
দুর্নীতির টাকা সরাতে স্ত্রী-পুত্রর নামে অ্যাকাউন্টে খুলেছিলেন বাকিবুর দাবি ইডির। স্ত্রী হালিমা বেগম, ছেলে সোহেল রহমান ছাড়াও টাকা আত্মসাৎ করতে আত্মীয় অনামিকা বিশ্বাস ও অভিষেক বিশ্বাসের নামেও অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন বাকিবুর। ভুয়ো কৃষকদের নামে অ্যাকাউন্ট খুলতে ব্যবহার করেছিলেন নিজের একাধিক কর্মচারির পরিচয়পত্র, তাদের নামে অ্যাকাউন্ট খুলে কৃষক পরিচয় দিয়ে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন বাকিবুর রহমান অভিযোগ ইডির। যা ইতিমধ্যে চার্জশিটে উল্লেথ করা হয়েছে।